জাতীয়

রাজধানীতে নয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ব্যাগ বহন নিষেধ

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতিপত্র পাওয়ার আনন্দ উদযাপনকালে বৃহস্পতিবার নগরীতে ব্যাগ বহন নিষিদ্ধের যে খবর গণমাধ্যমে এসেছে সেটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা শহরে নয়, শুধুমাত্র ব্যাগ বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থলে। এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ব্যাগ বহনে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘পিঠে এক প্রকার ব্যাগ বহন করা হয় যেটা ছাত্র বা যুবক শ্রেণির ব্যক্তিরা ব্যবহার করে, অনুষ্ঠানের দিন অর্থাৎ ২২ মার্চ এ ধরনের ব্যাগপ্যাকসহ কোনো রকম ব্যাগ ক্যারি করতে দেব না।’কিন্তু বেশকিছু গণমাধ্যমে বিষয়টি এভাবে এসেছে যে, বৃহস্পতিবার নগরীতে ব্যাগ বহন পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় জানান, ব্যাগ বহনে এই নিষেধাজ্ঞা গোটা ঢাকা শহরে নয়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাগ নেওয়া যাবে না। গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বার্তায় বলা হয়, ‘‘কয়েকটি গণমাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদেনে ‘আগামী বৃহস্পতিবার শহরে ব্যাগ বহন করা যাবে না’ বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বৃহস্পতিবার (২২/০৩/২০১৮) অনুষ্ঠানস্থলে কোন ধরনের ব্যাগ, আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ইত্যাদি বহন করা যাবে না’।” বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ সংবর্ধনার আয়োজন করছে। এছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। বিকেলে নগরীর নয়টি এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের হবে, যার প্রতিটি মিলিত হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এর বাইরে সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে জাতিসংঘ বিশ্বের দেশগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করে। সবার তলানিতে আছ স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি। মাঝে আছে উন্নয়নশীল আর সবার ওপরের তালিকায় উন্নত দেশ। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এর ৪৩ বছর পর গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতিসংঘের কাছ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র পায়। বাংলাদেশ স্বীকৃতিপত্র পেলেও উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণের প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ২০২৪ সালে। আর এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। জাতিসংঘের এই স্বীকৃতিতে সরকার উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রমাণ হিসেবে দেখছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মার্চ ২০১৮/হাসান/রফিক