নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বিদ্যমান ১২ শতাংশ বনাঞ্চল ২০২০ সালের মধ্যে সম্প্রসারণ করে ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন অধিদপ্তরের হৈমন্তী মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৫’ অর্জনে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেছেন, একই সময়ের মধ্যে জলাভূমি সুরক্ষার কাজ ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। কর্মশালায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরো বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণের পাশাপাশি পারিবারিক বনায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। রাস্তা-ঘাটসহ যেখানেই পতিত জায়গা পাওয়া যাবে, সেখানেই বনায়ন করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর চেয়ে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই সামাজিক ও পারিবারিক বনায়ন বাড়ালে এ সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশে স্থলভাগের ২০ শতাংশ বনের আওতায় থাকা প্রয়োজন। কিন্ত বাংলাদেশে রয়েছে ১১ থেকে ১২ শতাংশ। বৈশ্বিক কারণে এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে বন সম্প্রসারণের বিষয়টিকে অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভূমি, নদী, পানিসহ পরিবেশ দূষণ ক্রমেই বাড়ছে। নদীগুলো ভূমিদস্যুরা কৌশলে ভরাট করছে যা পরবর্তী সময়ে মরুকরণসহ জটিলতা তৈরি করবে।’ সুন্দরবনের কাছাকাছি ১৯০টির মতো শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। সুন্দরবন রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থাপনা কমিটি রাখা প্রয়োজন- এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে সুন্দরবন কেন্দ্রিক শিল্পকারখানা গড়ে উঠলে তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’ তিনি নদী রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল্লাহ আল মহসীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী িও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ১৬শ’ প্রজাতির বণ্যপ্রাণীর অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে তা ২০২০ সালের মধ্যে আরো বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের ১৩ শতাংশ বনকে ২০২০ সালের মধ্যে সম্প্রসারণ করে ২০ শতাংশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ এপ্রিল ২০১৮/হাসান/শাহনেওয়াজ