জাতীয়

রানা প্লাজার বাজেয়াপ্ত সম্পদের কী হবে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার:  রানা প্লাজা ধসের পাঁচ বছর পূর্ণ্ হল আজ। অথচ এই পাঁচ বছরেও ভবন মালিক সোহেল রানার বাজেয়াপ্ত সম্পদের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শ্রমিক নেতাদের আশঙ্কা সরকারের উদাসীনতার কারণে বিপুল অর্থের এই সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তদের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এসব সম্পত্তি দ্রুত নিলামে তুলে প্রাপ্ত অর্থ হতাহতদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়ার দাবী তুলেছেন তারা। তবে এসব সম্পদ আবার ফিরে পাওয়ার আশা এখনও ছাড়েননি ভবন মালিক সোহেল রানার বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক। তিনি আশা করছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিগগিরই এসব সম্পদের ভোগ দখল ফিরে পাবেন তারা। রানা প্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের উচ্চ আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রাক্তন যুবলীগ নেতা ও ভবন মালিক সোহেল রানার সব ব্যক্তিগত সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন। এরপর ঢাকা জেলা প্রশাসন সাভার ও ধামরাই উপজেলায় সোহেল রানার নামে রানা প্লাজা ভবনটির ১৮ শতাংশ, সাভার বাজার রোডে অবস্থিত রানা টাওয়ারের ১০ শতাংশ এবং ধামরাইয়ের একটি ইটভাটার ৪৬ শতাংশসহ  মোট ১৭৪ শতাংশ জমির সন্ধান পান। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। সেই বছরই এসব সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর পর আজ অবধি এসব সম্পদের ব্যপারে আর কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক কেএম মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘রানা প্লাজার হতাহত শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারের অন্যান্য উদাসীনতার মত এটিও একটি উদাসীনতা। এই উদাসীনতার ফলে বাজেয়াপ্ত সম্পদ আবারো ফিরে পেতে পারেন সোহেল রানা। তাই এখনি এসব সম্পত্তি নিলামে তোলা দরকার।’ অন্যদিকে বাজেয়াপ্ত সম্পদের ব্যপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে এখনও সন্দিহান ঢাকা জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত এবং সরকারই একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে দাবী তাদের। সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাসেল বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সোহেল রানার সব সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসব সম্পদের দেখভাল করা হচ্ছে আমাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু নিলামে তোলা কিংবা না তোলা এটি উচ্চ আদালত ও সরকারের ব্যাপার।’ রাইজিংবিডি/সাভার/২৪ এপ্রিল ২০১৮/সাফিউল ইসলাম সাকিব/টিপু