নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে প্রতিদিন ২৭৭ জন মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস (৩১ মে) উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ তথ্য তুলে ধরে। সংস্থাটির মতে, কেউ যদি দিনে একটি করে সিগারেটও খায় তাহলে তার হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন। ড. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে বছরে মারা যায় ১০ লাখ মানুষ। মাসে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৩৩৩ জন। প্রতিদিন সে সংখ্যাটা হচ্ছে ২৭৭। সে হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় মারা যাচ্ছে ১২ জন। তিনি বলেন, প্রতি ১ হাজার টন তামাক উৎপাদনে ১ হাজার জন মানুষ মারা যায়। তামাকের কারণে দেশে ক্যান্সারে ভুগছে ১৩-১৪ লাখ মানুষ। প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে আড়াই লাখ এবং মারা যাচ্ছে ২ লাখ মানুষ। মুখগহ্বর, স্বরযন্ত্র, জিহ্বা ও ফুসফুস ক্যান্সারের প্রায় ৫০ ভাগের জন্যই দায়ী তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন। অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ, স্ট্রোকের ঝুঁকি তিন গুণ এবং বুক ব্যথার ঝুঁকি ২০ গুণ বেশি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, দেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৩০ শতাংশ দায়ী ধূমপান তথা তামাক ব্যবহার। অরূপ রতন চৌধুরী আরো বলেন, টোব্যাকো অ্যাটলাসের ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী মধ্যম সারির মানব উন্নয়ন সূচকে অবস্থানকারী অন্যান্য দেশর তুলানায় বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর হার ২৫.৫৪ শতাংশ বেশি। তাই তামাক তথা মাদকাসক্তির কবল থেকে রক্ষা করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ হোসনে আরা রীনা, কার্যকরী সদস্য জাহানারা রশীদ, আব্দুল মতিন প্রমুখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ মে ২০১৮/ইয়ামিন/রফিক