জাতীয়

সরকারিভাবে রোগী প্রতি ব্যয় ৭৬ হাজার ৩৭৩ টাকা

সংসদ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন,  বছরে চিকিৎসা বাবদ সরকারিভাবে রোগী প্রতি ব্যয় হয় ৭৬ হাজার ৩৭৩ টাকা। একইভাবে পথ্য বাবদ (খাবার) রোগী প্রতি দৈনিক ব্যয় হয় ১২৫ টাকা। মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার প্রায় প্রতি বছরই মাথাপিছু চিকিৎসা ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়েছেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সাংসদ মো. মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  অপর সাংসদ দিদারুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী এমবিবিএস রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৩২১ জন এবং বিডিএস রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮ হাজার ৫১৫ জন। এসব চিকিৎসকের মধ্যে সারা দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৪১ জন। এ ছাড়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসহ অন্যান্য অনুমোদিত মেডিক্যাল কলেজে প্রতি বছর ২ হাজার ৮৪৬ জন বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কোর্সে চিকিৎসক ভর্তি হচ্ছে। তা ছাড়া নতুনভাবে ডেপুটেশন কমিটি যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ টাস্কর্ফোস গঠন করা হয়েছে। সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গরিব-দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবা সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে দেশের প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যাতে গরিব-দুঃস্থ রোগীরা বিনামূল্যে-নূন্যতম মূল্যে চিকিৎসা সেবা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। দেশে জটিল রোগসমূহের ওষুধের মূল্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এমন দাবির জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এটা সঠিক নয়। কিছু কিছু ওষুধের মূল্য আগের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কিছু কিছু ওষুধের মূল্য আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সর্বদা তৎপর রয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কেবল প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবার তালিকার্ভুক্ত ১১৭টি জেনেরিক নামের ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।  সাংসদ শেখ মো. নুরুল হকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এ সকল ক্লিনিকে প্রতিটিতে একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছেন। এসব ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৩৮ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭৪ কোটির অধিক ভিজিটের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা গ্রহণ করছেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৮/আসাদ/ইভা