জাতীয়

শেষ ভরসা ট্রেনের ছাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রেনের টিকিট থাকার পরও ট্রেনে ওঠতে না পেরে শেষ ভরসা ট্রেনের ছাদে ঠাঁই হচ্ছে যাত্রীদের। ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। অনেকেই আবার ইঞ্জিনে চড়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ দৃশ্য শুক্রবার সকালে কমলাপুর স্টেশনের। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের প্রবেশ পথ, প্ল্যাটফর্ম এমনকি স্টেশনের প্রধান ফটকের বাইরে লোকে লোকারণ্য। যে যেভাবে পারছিলেন ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। কোনো ট্রেন আসামাত্র গেট, জানালা দিয়ে হুড়োহুড়ি করে যাত্রীর ওঠছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে সবগুলো বগি ভরে যাচ্ছিল। যাত্রীর এত চাপ যে ভেতরে আর নিতে পারছিল না বগিগুলো। এরই মধ্যে ওঠতে না পারা যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠছিলেন। পুরুষ-নারী সবার মধ্যে ছিল কার আগে কে ওঠবে-এ প্রতিযোগিতা। যাত্রী রায়হানুল হক বলেন, ‘জামালপুর যাবো বলে আগে থেকে টিকিট কেটে রাখি। কিন্তু ভেতরে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠতে বাধ্য হলাম। কি করার ভাই, ঈদতো করতে হবে।’ একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী রাসেল আহমেদ বলেন, ‘কি করার ভাই, শত কষ্ট হলেও গ্রামের বাড়িতে যেতে হবে। পরিবারের অন্য সদস্যদের আগেই পাঠানো হয়েছে। এখন আর কি করার ছাদে করেই যেতে হচ্ছে।’ অবশ্য এ সময় অনেকেই বলছিলেন, দাঁড়ানোর টিকিট বিক্রি করায় বগিতে ওঠতে পারছে না অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাত্রীদের ছাদে ওঠা দণ্ডনীয় অপরাধ সতর্ক করে আসলেও তাদের কথা কেউ শুনছিলেন না। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আজ শেষ দিন। এ কারণে একটু ভিড় বেশি।  ভিড়ের কারণে যাত্রীরা ছাদে ওঠছে। তাদের বারবার বারণ করা হচ্ছে। আবার এটাও বুঝতে হবে আমাদের সম্পদ সীমিত।’ এদিকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিলেট, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে  প্রায় ৩০টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। ৩টি ট্রেন কিছুটা বিলম্বে স্টেশন ত্যাগ করে। পড়ুন : রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুন ২০১৮/মাকসুদ/সাইফ