জাতীয়

ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছে কম, যাচ্ছে কেউ কেউ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের খুব কম সংখ্যকই ফিরছেন ঈদের পরদিন। ঝামেলা এড়াতে কেউ কেউ ঈদের পরদিন রওনা দিচ্ছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।   রাজধানীর গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে এবং বাস কাউন্টারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ শেষে তারাই ফিরছেন যারা ঈদের অনেক আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছেন। আবার অনেকের জরুরি কাজ থাকায় বা চিকিৎসা নিতে দ্রুত ফিরছেন রাজধানীতে। তবে এই সংখ্যা খুবই কম।  

বাস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সোহাগ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের ম্যানেজার মোসলেম উদ্দিন জানান, ফিরতি পথে তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০টি টিকিট হয়। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার এই সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। ঈদ শেষে পরদিনই গাবতলী কাউন্টারে পরিবার নিয়ে ফিরে এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হানিফ ব্যাপারী। পরদিন ফিরে আসার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের ঈদের বেশ আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ছুটি নেই তাই পরদিনই ফিরে আসলেন। তাছাড়া দুদিন পরের টিকিটের খুব ক্রাইসিস।  

জে আর পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, মুলত যাদের খুব বেশি তাড়া তারাই আসছেন আজ। এদিকে ঈদের আগে যারা যেতে পারেননি তারা অনেকে ঈদের পরই রওনা দিয়েছেন গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। তারা জানান, ঈদের আগে বাড়তি চাপ আর ঝামেলার কারণে ঈদের পরদিন যাচ্ছেন। অনেকে আবার ঈদের পরে যাচ্ছেন একটু বেশি দিন স্বজনদের কাছে থাকার আশায়। কোহিনুর পরিবহনের ইনচার্জ মোর্শেদ বলেন, রোববার সকালের দিকে মোটামুটি যাত্রী ভালো ছিলো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। রাতে যাত্রীর চাপ থাকবে বলে তারা ধারণা করছেন।  

পরিবার নিয়ে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ঈদের পর নিজের বাড়ি খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সিয়াম আহমেদ। ঈদের পরদিন কেন যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে যে ধরনের চাপ! একে তো টিকিট নেই। তার ওপর হয়রানি আর কষ্টের সীমা থাকে না। এজন্য এবার চিন্তা করেছি ঈদের পরদিনই যাবো। সেই ভাবনা থেকে আজ যাওয়া।’ এস আর পরিহনের দায়িত্বরত মো: কাজল জানান, ঈদের পরদিন রাস্তা একেবারে ফ্রি থাকে। এতে বলতে গেলে নির্ধারিত সময়েই গাড়ি চলে যায় গন্তব্যে। এজন্য অনেকে প্রতিবছরই এই সময়টা বেছে নেন।’

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জুন ২০১৮/রেজা/শাহনেওয়াজ