জাতীয়

বালাইনাশক বিল পাস

সংসদ প্রতিবেদক : মানহীন বালাইনাশক বিক্রি ও মিথ্যা ওয়ারেন্টি দেওয়ার শাস্তি হিসেবে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে বালাইনাশক  (পেস্টিসাইড) বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ। সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলে বলা হয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, তৈরি, মজুত, মোড়কজাতকরণ, বিক্রয়, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি এবং বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। মানহীন, ভেজাল ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বালাইনাশক বিক্রি ও মজুত করা হলে নিবন্ধন বাতিলসহ ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ২ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বালাইনাশকের ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি এই ব্র্যান্ড ভেজাল ও নকল নয় এবং আগাছা ছাড়া উদ্ভিদ, প্রাণীকূল বা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়- এমন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। বালাইনাশক ব্র্যান্ডের নিবন্ধনের মেয়াদ হবে তিন বছর। বালাইনাশক আমদানি ও বিক্রির মেয়াদ হবে দুই বছর। নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কৃষিকাজে বালাইনাশকের আমদানি, উৎপাদন, তৈরি, বিক্রয়, বিতরণ, ব্যবহার ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনটির প্রয়োজন। বিদ্যমান পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্স ১৯৭১ সালে ইংরেজি ভাষায় জারি হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ ও ২০০৯ সালে অধাদেশ দুটি সীমিত আকারে সংশোধিত হয়। মন্ত্রিসভায় দেশে প্রচলিত সব আইন বাংলায় রূপান্তরের সিদ্ধান্তের আলোকে ‘পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্স, ১৯৭১’ রহিত করে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নুতন আইন আকারে বাংলা ভাষায় বালাইনাশক  (পেস্টিসাইড) আইন ২০১৮ প্রণীত হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জুলাই ২০১৮/আসাদ/রফিক