জাতীয়

‘কাউকে হয়রানি করা উদ্দেশ্য নয়, চাই সত্য উদঘাটন হোক ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে প্রকাশিত ঘটনায় এখন মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি অবৈধ কিনা তা আমাদের সকালের জানা দরকার। এর মাধ্যমে কাউকে হ্যাস্ত-ন্যাস্ত বা হয়রানি করা উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই সত্য উদঘাটন হোক। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে প্রকাশিত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা কাউকে হ্যাস্ত ন্যাস্ত করছি না। এখানে মানিলন্ডারিং হয়েছে কিনা বা অর্জিত সম্পত্তি অবৈধ কিনা আমাদের সকলের জানা দরকার।' তিনি বলেন, ‘এটা একটা অনুসন্ধান। এর মাধ্যমে কাউকে হ্যাস্ত-ন্যাস্ত বা হয়রানি করা উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক এবং দেশের সবকিছু আইন অনুযায়ী চলুক। আমরা অবৈধ অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের বিষয় দেখছি। আমাদের সংবিধান বলেছে, আপনি অবৈধ সম্পদ অর্জন কিংবা ভোগ করতে পারবেন না। এজন্য দুদক একটি এসেট রিকভারি ইউনিট করেছে।’ দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেক চলমান অবৈধ সম্পত্তির মামলায় দুর্ভগ্যক্রমে ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মামলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ওই সম্পদ ঠিকই রয়ে যায়। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা এই ইউনিট গঠন করেছি। যে কোন অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুদকের কর্তব্য আছে।’ পানামা পেপার্সে নাম না থাকা সত্বেও দুদক ডেকে হয়রানি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি বলতে পারবো না। অনুসন্ধানী কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। আমার কাছে অনেক বিষয় থাকে, আপনারা অনুসন্ধনী কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘পানামা-প্যারাডাইসের বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের নজরে এসেছে। মিডিয়াতে এলে সে বিষয়টি উপেক্ষা করা মুশকিল। আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করছি। সত্যটা আমাদের জানতে হবে, আপনাদেরও জানতে হবে।’ গতকাল দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা বলেছেন, ‘পানামা পেপার্সে আমাদের কোনো নাম নেই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। আপনারাও ওয়েব সাইডে গিয়ে দেখতে পারেন। এটা জাস্ট হ্যারাসম্যান্ট।’ দুদক উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁঞার নেতৃত্বে একটি টিম সকাল সোয়া ৯টা থেকে সাড়ে ১২ পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জুলাই ২০১৮/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ