জাতীয়

তৃতীয় দিনেও কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : তৃতীয় দিনের মতো বিক্রি হচ্ছে ঈদের আগাম ট্রেনের টিকিট। শুক্রবার সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হয়। আজ পাওয়া যাচ্ছে আগামী ১৯ আগস্টের টিকিট। টিকিট পেতে গত রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। কমলাপুরে ২৬টি কাউন্টার থেকে একযোগে চলছে টিকিট বিক্রি। প্রতিটি টিকিট কাউন্টারের সামনে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। মানুষের দীর্ঘলাইন স্টেশনের বাইরে গিয়ে ঠেকেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর কাউন্টারের সামনে। আগামীকাল ১১ আগস্ট পাওয়া যাবে ২০ আগস্টের টিকিট। ১২ আগস্ট মিলবে ২১ আগস্টের। এই দিনগুলোতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮ টা থেকে টিকিট বিক্রি হবে। উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর ট্রেনের টিকিট পেতে গত রাত ১০টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন ওবাইদুর রহমান। তিনি বলেন, সড়ক পথে যানজট, খানাখন্দ আর ভোগান্তির কারণে রেলপথে এবার মানুষ বেশি ঝুঁকছে। ছোট ছোট বাচ্চা থাকার কারণে গতবার ঈদে বাড়ি যাইনি। কিন্তু এবার যেহেতু কোরবানি ঈদ, যেতেই হবে। তাই শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়িয়েছি। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাবো কী না এটা নিয়েই চিন্তিত। তবে অনেকেই এসির টিকিট পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। তাদের মধ্যে একজন মনিরুল ইসলাম। তিনি যাবেন আগামী ১৯ আগস্ট স্ত্রী-সন্তানসহ রাজশাহী। তিনি বলেন, গত রাত ১০টার দিকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি, সারা রাত অপেক্ষা করার পর সকাল ৮টায় যখন টিকিট বিক্রি শুরু হলো তার কিছুক্ষণ পরই জানানো হল এসি টিকিট শেষ। কাউন্টার সূত্র জানায়, ঈদের সময় সবাই এসি টিকিট চায়। সবাইকে তো আর দেওয়া সম্ভব নয়। বরাবরের মতো এবারও মোট টিকিটের ৬৫ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ২৫ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ শতাংশ। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, সকাল থেকেই টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। যাত্রীর চাপের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি ট্রেনেই অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হবে। অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছেন। প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করলেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৈনিক ৩ লাখ যাত্রী চলাচল করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হবে। এদিকে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যেন ঈদযাত্রা করতে পারে সেই লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ আগস্ট ২০১৮/সাওন/সাইফ