জাতীয়

লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট পেতে হাহাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট পেতে চলছে হাহাকার। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বরিশালসহ বিভিন্ন রুটের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব টিকিট বিক্রি হয়েছে। এরইমধ্যে ঈদে ঘরমুখী যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ আগস্ট) থেকে ডেকের টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সেক্ষেত্রে যাত্রীদের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে যাত্রীরা বলছেন, ডেকের টিকিট নিয়ে কী করব? লঞ্চে উঠতে পারলে এমনিতে টিকিট কেটে বাড়ি যাওয়া যায়। অন্যদিকে, যাত্রা শুরুর অনেক আগেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রথম শ্রেণির টিকিটপ্রত্যাশী যাত্রীরা। যাত্রীদের জন্য লঞ্চগুলোতে যে পরিমাণ কেবিন বরাদ্দ রয়েছে তার বিপরীতে চাহিদা কয়েক গুণ। তাই যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী টিকিট সরবরাহ করতে পারেনি বলে স্বীকারও করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বরিশালগামী লঞ্চের কেবিনের টিকিট কাটতে গিয়ে ফিরে আসা যাত্রী নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকিটের জন্য লঞ্চের অফিসগুলোতে ঘুরেও টিকিট পাওয়া যায়নি। ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার টিকিট লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও দালালের একটি সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়ে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করছে। এ বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দরের সহকারী পরিদর্শক মো. মামুন বলেন, ঈদযাত্রা এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। গতকালের তুলনায় আজ কিছুটা ভিড় দেখা যাচ্ছে। আর কেবিনের জন্য হাহাকার গত সপ্তাহ থেকেই চলছে। তবে ডেকের টিকিট পেতে কারো অসুবিধা হচ্ছে না। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু হবে ১৯ আগস্ট থেকে। ঈদযাত্রাকে গতিশীল ও বাধাহীন করতে আগামী ১৫ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিন বালুবাহী সব নৌযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী যেতে না পারে, এজন্য টার্মিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোজার ঈদের মতোই সাত দিন আগে থেকেই ডেকের যাত্রীদের জন্য টিকিট বিক্রি চালু করার জন্য মালিকদের বলা হয়েছে। লঞ্চ ভাড়ার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, আসন ব্যবস্থাপনা অনুসারে ছোট-বড় লঞ্চসমূহের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বড় আকারের লঞ্চগুলোতে ডুপ্লেক্স ও ভিআইপি কেবিনের ভাড়া ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা হয়ে থাকে। যেখানে দুটো বেড, এসি, রেফ্রিজারেটর, টিভি, ডাইনিং সুবিধা রয়েছে। দুই বেড সুবিধার ডাবল কেবিনের ভাড়া ১ হাজার ৮০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা, এক বেড সুবিধার সিঙ্গেল কেবিন ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, সোফা কাম বেডের ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া, লঞ্চের ডেকের (লঞ্চের খোলা স্থান) ভাড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ আগস্ট ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক