জাতীয়

‘সব মোটাতাজাকরণ প্রাণী স্টেরয়েড দেওয়া নয়’

শেকৃবি প্রতিনিধি : দেশে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা গরু মোটাতাজাকরণের জন্য স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করছেন। এই স্টেরয়েড লাইভ সেভিং ড্রাগ হিসাবে পরিচিত। দ্রুত গরু মোটাতাজাকরণ প্রাণী স্টেরয়েড দেওয়া হয়। স্টেরয়েড অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং গোশতের মান কমিয়ে দেয়। তবে সব মোটাতাজাকরণ প্রাণী স্টেরয়েড দেওয়া নয়। অনেক প্রাণীর ক্ষেত্রে কৃশিনাশক ওষুধ খাওয়ানো, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, অপ্রচলিত খাদ্য ব্যবহার, প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত গরু মোটাতাজাকরণ, অসাধুপন্থা অবলম্বন ও প্রতিকার বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রাণীসম্পদ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, স্টেরয়েড দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করানো হয়ে থাকে। স্টেরয়েড দেওয়া গরু চেনার বেশ কয়েকটা উপায় রয়েছে। প্রধান লক্ষণ হচ্ছে, স্টেরয়েড জাতীয় গরু নিরব ও নির্জীব থাকবে। ঠিক মতো চলাফেরা করবে না। খাবার খাবে না। এছাড়া পেশীবহুল জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে দেবে যাবে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাই না করলে গরু মারা যাবে। সবাইকে স্টেরয়েট জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সব খামারী ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করেন না। দিন দিন স্টেরয়েট জাতীয় ওষুধ ব্যবহার কমে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্টেরয়েট জাতীয় ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, না হয় গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প শিল্প দাঁড়াতে পারবে না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এএসভিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। উপস্থিত ছিলেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হালিম। উপস্থাপনা করেন অধ্যাপক ড. মো. কে বি এম সাইফুল ইসলাম। রাইজিংবিডি/শেকৃবি/১৬ আগস্ট ২০১৮/আকাশ বাসফোর/সাইফ