জাতীয়

স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস রোববার থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের আর মাত্র তিন দিন বাকি। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিকড়ের টানে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। ট্রেন বা বাসে অতিরিক্ত ভিড় চোখে পড়লেও এখনো ভিড় নেই দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চযাত্রায়। নিয়িমিত যাত্রীর চেয়ে সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও উপচেপড়া ভিড় নেই ঢাকার লঞ্চঘাটে। ফলে লঞ্চ চলাচল এখনো স্বাভাবিক বলছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নো-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) ও ঘাট সংশ্লিষ্টরা। যদিও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাভাবিক সেবা নিশ্চিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ১৬ আগস্ট থেকে স্পেশাল সার্ভিস চালু করেছে সরকারি স্টিমার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বেসরকারি লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। আগামিকাল (১৯ আগস্ট) ঢাকা থেকে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, হুলারহাট, বগাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌ-রুটে বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানিগুলোর মালিক চাইলে স্পেশাল সার্ভিস চালু করতে পারবেন। এ বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দরের সহকারী পরিদর্শক মো. মামুন বলেন, ঈদযাত্রায় ভিড় নেই বললেই চলে। লঞ্চগুলো অন্যান্য দিনের মতো ঢাকা ছেড়েছে। তবে বিকেলে ভিড় স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়তে পারে। সকাল থেকে ২৫টির মতো নৌ-যান চাঁদপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ঢাকা ছেড়েছে। আগামিকাল থেকে স্পেশাল সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভিড় না থাকলে স্পেশাল সার্ভিসের লঞ্চগুলো নাও চলতে পারে।  নৌ-যান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার প্রদত্ত তথ্য মতে এবারের ঈদে মোট ২১১টি সরকারি ও বেসরকারি লঞ্চ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। যার সবগুলোরই ট্রায়াল ও সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রাকে গতিশীল ও বাধাহীন করতে আগামী ১৫ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিন বালুবাহী সব নৌযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী যেতে না পারে, এজন্য টার্মিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী ও ঘাটের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র স্পেশাল টহল, মেরিন ক্যাডেট, স্কাউটস ও গার্লস গাইডের সদস্যরা কাজ করছেন। এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবীর বলেন, গত ঈদের পরিস্থিতি যেহেতু সামাল দিতে পেরেছি সেখানে এ ঈদে কোনো সমস্যাই হবে না। কারণ কোরবানির ঈদের চেয়ে রোজার ঈদে যাত্রী বেশি থাকে। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি, আশা করছি কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এবারের ঈদ যাত্রা সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৮/এম এ রহমান/এনএ