জাতীয়

সদরঘাটে জনস্রোত

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাঝখানের একটি দিন পেরোলেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কাঙ্ক্ষিত উৎসবে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে দলে দলে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। দক্ষিনাঞ্চলগামী মানুষের বেশিরভাগের যাতায়াত লঞ্চযোগে। আর তাই রাজধানীর সদরঘাটে এখন জনস্রোত। সোমবার দুপুর থেকেই দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া প্রায় প্রতিটি লঞ্চ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড়ে অনেক জাহাজ নির্ধারিত সময়ে আগেই ঘাট ত্যাগ করেছে। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে প্রায় সবগুলো রুটে চলছে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। বাড়তি চাপ সামলাতে আজও ঢাকা-বরিশালসহ বিভিন্ন রুটে স্পেশাল সার্ভিস ছেড়ে যাবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) ও ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দরের সহকারী পরিদর্শক মো. মামুন রাইজিংবিডিকে বলেন, ঈদযাত্রায় আজকে ভিড় সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। অতিরিক্ত চাপ সামলাতে আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হচ্ছে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ৬৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এখনো অপেক্ষমান রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫টি। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাভাবিক সেবা নিশ্চিতে এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ১৬ আগস্ট থেকে স্পেশাল সার্ভিস চালু করেছে সরকারি স্টিমার। বেসরকারি লঞ্চেরও স্পেশাল সার্ভিস চলছে। ঢাকা থেকে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, হুলার হাট ও বগাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌ-রুটে চলছে লঞ্চ। বরিশালে ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন আহমেদ মাহতাব। তিনি বলেন, দুপুর ২টায় লঞ্চে আসছি। কর্তৃপক্ষ বলেছে ৫টার মধ্য ঘাটে থাকতে। তবে মনে হচ্ছে ৮টার আগে ছাড়বে না। যাই হোক অনেক ভিড়ের মধ্যে শান্তিতে লঞ্চে উঠতে পেরেছি, এজন্য শুকরিয়া। নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার প্রদত্ত তথ্য মতে, এবারের ঈদে মোট ২১১টি সরকারি ও বেসরকারি লঞ্চ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। ঈদযাত্রাকে গতিশীল ও বাধাহীন করতে আগামী ১৫ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিন বালুবাহী সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী  নিতে না পারে সেজন্য টার্মিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী ও ঘাটের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর স্পেশাল টহল, মেরিন ক্যাডেট, স্কাউটস ও গার্লস গাইডের সদস্যরা কাজ করছেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/ ২০ আগস্ট ২০১৮/ এম এ রহমান/এনএ