জাতীয়

বর্জ্য অপসারণে উত্তরে ৯৫০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ২ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে। সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, প্যানেল মেয়রের উপস্থিতিতে ঈদের দিন বেলা ২টায় উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে অস্থায়ী পশুর হাট হতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। কোরবানি উপলক্ষ্যে আগত পশু হতে উৎপন্ন বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা বলেন, ঈদের দিন থেকে জবাইকৃত কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাটসমূহ দ্রুত পরিষ্কারের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি, ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি আউটসোর্সিং হতে অতিরিক্ত ট্রাক নিয়োজিত করা হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে বর্জ্য পরিবহন সক্ষমতা কমপক্ষে ১০ হাজার টনে উন্নীতকরণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরের দুদিন নিরবচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য বর্জ্যবাহী ট্রাক ১৫০টি, পে-লোডার পাঁচটি, হুইল ডোজার তিনটি, বেকহো লোডার চারটি, স্কিপ লোডার চারটি, ডাম্প ট্রাক ১৯টি, পানির গাড়ি ১১টি, ট্রাক (আউট সোর্সিং) ৮০টি নিয়োজিত থাকবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে পশু জবাইয়ের স্থানে ১১টি ওয়াটার বাউজার দ্বারা তরল জীবানুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রে-করণের ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডারসহ অন্যান্য পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহৃত উপকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বর্জ্য ব্যাগ চার লাখ, ব্লিচিং পাউডার ৪০ হাজার কেজি, তরল জীবানুনাশক এক হাজার লিটার, ফিনাইল ২০০ লিটার। ল্যান্ডফিলে ঈদুল আজহার অতিরিক্ত বর্জ্য পরিবেশসম্মত ডিসপোজাল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অতিরিক্ত যান-যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে ল্যান্ডফিলে বর্জ্য ড্রেসিং কার্যক্রমে ছয়টি বুলডোজার, তিনটি চেইন এস্ক্যাভেটর, দুটি লং আর্ম এস্ক্যাভেটর ও দুটি হুইলডোজার নিয়োজিত রাখা হবে। প্রতিটি বাড়ি হতে দ্রুত বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য পর্যাপ্ত ভ্যান সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যানগাড়িতে করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জানান, যত্রতত্র চামড়া কেনা-বেচা বন্ধ করার লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখা হবে। এছাড়া বর্জ্যবাহী গাড়ি ল্যান্ডফিলে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য আমিন বাজার ও আশেপাশের রাস্তায় চামড়া কেনাবেচা বন্ধে পুলিশ-প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগিতা করবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমূখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৮/সাওন/এনএ