জাতীয়

ট্রেনের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সকাল ৬টায় ট্রেন ছেড়ে যাবার কথা। তাই একটু আগে আগেই স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে সব প্রস্তুতি নিয়ে বাসা থেকে রেব হন সবুজ। তিনি যাবেন রাজশাহী। ভোর সাড়ে ৫টায় স্টেশনে আসেন। আর সেই থেকেই প্ল্যাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়ের পরও সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। আরো কত সময় অপেক্ষা করতে হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শুনেছেন ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে বেলা ১১টা। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টা সময়ও ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসেনি। শুধু সবুজ নয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে কমলাপুর স্টেশনে হাজার হাজার মানুষ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এদিন প্রায় দেড় লাখ যাত্রীর রেলপথে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। ঈদযাত্রার শুরুর দিনে ট্রেন ছাড়তে ১ থেকে ২ ঘণ্টা দেরি হলেও আজ দেরি হচ্ছে অন্তত ২ থেকে ৬ ঘণ্টা। অনেকগুলো রুটেই এমন সিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে। বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষ। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলোর একটিও নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছাতে বা স্টেশন ছেড়ে যেতে পারছে না। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়ে যওয়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় বেলা ১১টা। কিন্তু ১১টা সময়েও প্ল্যাটফর্মে আসেনি ট্রেনটি। চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে বেলা ১২টা। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে বেলা ২টা। লালমনির হাট ঈদ স্পেশাল ট্রেন সকাল সোয়া ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ৯টা ৫০মিনিটে ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু বেলা ১১টায়ও ট্রেনটি ছাড়তে পারেনি। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী জানান, অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় স্বাভাবিক গতি নিয়ে ট্রেন চলতে পারে না। এ কারণে ট্রেনগুলো দেরি করে গন্তব্যে পৌঁছায়। এসব ট্রেনের ঢাকায় ফিরে আসতেও দেরি হচ্ছে। এজন্য উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখা যাচ্ছে না। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৮/সাওন/সাইফ/শাহনেওয়াজ