জাতীয়

রাস্তা-ঘাটে পশু কোরবানি, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের নামাজের পর শুরু হয়েছে পশু কোরবানি। নির্ধারিত স্থানে কোরবানি না দিয়ে অনেকেই রাস্তা-ঘাটে ও বাসাবাড়ির সামনে পশু কোরবানি করছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও সিটি করপোরেশন রাস্তায় ও বাসাবাড়িতে পশু কোরবানি না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানালেও,  নগরবাসী তা মানছে না। নাগরিকরা সচেতন না হওয়ায় বর্জ্য ও দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাজধানীর শান্তিনগরে প্রধান সড়কের দুইপাশে চলছে পশু কোরবানি। একইভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে, অলি-গলিতে, বাসাবাড়ির সামনে পশু কোরবানি দেওয়া হচ্ছে। বুধবার সকালে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে ঢাকা নগরীর  সব জায়গায় এমন চিত্র দেখা গেছে। যাদের বাসার কাছে পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান রয়েছে, তারা অনেকে কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানে পশু নিয়ে যাচ্ছেন। আর যাদের বাসা থেকে একটু দূরে তারা পশু নিয়ে যাচ্ছেন না। তারা তাদের বাসার সামনে সুবিধা মতো স্থানে পশু কোরবানি দিচ্ছেন। এবার নতুন সংযুক্ত ৩৬ ওয়ার্ডসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে  ১ হাজার ৫৪টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী এলাকার কাজলা, নয়ানগর এলাকার প্রতিটি বাসার সামনেই সড়কে ও গলিতে পশু কোরবানি করা হচ্ছে। রাস্তার ওপর বসে ছাড়ানো হচ্ছে পশুর চামড়া। মাংস প্রস্তুতও করা হচ্ছে গলির সড়কে বসে। নয়ানগর সড়কে পশু কোরবানি করছেন এমন একজন হলেন রাজন। তিনি বলেন, বাসার সামনে কোরবানি করায় ঝামেলা কম। তাই বাসার সামনেই আমরা পশু কোরবানি করছি। বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রক্ত, বর্জ্য এগুলো আমরা নিজ দায়িত্বেই পরিস্কার করে ফেলবো। কারণ আমার বাসার সামনে দুর্গন্ধ হলে ভোগান্তি তো আমরাই হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৮/সাওন/নঈমুদ্দীন/সাইফ