জাতীয়

একক কললাইন চালুসহ ৯ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : অফ নেট, অন নেট প্রথা বাতিল করে সরাসরি একক কললাইন চালুসহ নয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভয়েস কলরেট বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বৃদ্ধির কারণ জানাতে এক মুক্ত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইইটিইউ) সহায়তায় বিটিআরসি ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেট বেঁধে দেয়। সেই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি কস্ট মডেলিংও করেছিল। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট হঠাৎ করে বিটিআরসি প্রজ্ঞাপন জারি করে গ্রাহকদের ম্যাসেজের মাধ্যমে জানায় এখন থেকে ভয়েজ কলরেটে অন নেট অফ নেট থাকছে না। যেখানে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা আর সর্বোচ্চ সিলিং রেট ২ টাকা থাকবে। আর যুক্তি হিসেবে বলা হলো অন নেট অফ নেট এক হওয়াতে মনপোলি ভাঙা যাবে। যে যুক্তি খুবই হাস্যকর। অফ নেট অন নেট না থাকায় গ্রাহকরা সুবিধার থেকে ক্ষতির মুখে পড়েছে জানিয়ে মহিউদ্দীন আহমেদ আরো বলেন, গ্রাহকদের এখন ২৫ পয়সার জায়গায় ৪৫ পয়সা দিতে হচ্ছে। আর সর্বোচ্চ নেওয়া হচ্ছে ২ টাকা। তাহলে কার লাভ হচ্ছে এই নতুন কলরেটে! দেশে বর্তমানে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ।  এর মধ্যে বিটিআরসির হিসেব মতে অফ নেটে কল হয় গ্রামীণের ৯০ শতাংশ, রবির ৭১ শতাংশ, বাংলালিংক এর ৬৯ শতাংশ ও টেলিটকের ১০ শতাংশ। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রক হিসাবও যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যায় বর্তমান রেটে অতিরিক্ত বিল আদায় হচ্ছে ৫০ শতাংশ। এত তথ্য উপাত্ত থাকার পরেও স্টেক হোল্ডারদের মতামত না নিয়ে কোন প্রকার কস্ট মডেলিং বা গণ শুনানি না করে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দাও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তুলে ধরা ৯ দফা দাবির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলোর মধ্যে রেয়েছে- টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গ্রাহক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একটি আলাদা আইন ও কমিশন গঠন, কলরেটের ক্ষতিপূরণ গ্রাহককে দ্রুত ফেরত দেওয়া, চলতি বাজেটে পাস হওয়া ইন্টারনেটের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা কেন বাস্তবায়ন হল না তার ব্যাখ্যাসহ বাস্তবায়ন ইত্যাদি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮/নাসির/সাইফ