জাতীয়

বিএনপির সঙ্গে কামালের ঐক্য অশুভ ঘটনা : বাণিজ্যমন্ত্রী

সংসদ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপির মতো একটি স্বাধীনতাবিরোধী দল, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, এমন একটি দলের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের ঐক্য একটি অশুভ ঘটনা। রোববার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বক্তব্যের জের টেনে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুনের সঙ্গে জড়িত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত, যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে, যারা ফাঁসির আসামি, ফাঁসি হয়েছে, তাদের সাথে ঐক্য করে বর্তমানে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ড. কামাল হোসেন, তা নিয়ে আমাদের কিছু বক্তব্য আছে। এটা একটি অশুভ ঘটনা ঘটতে চলেছে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে কোনো একটি তারিখে সময় নিয়ে আমরা তার এ ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এ সম্বন্ধে বলার মতো আমাদের অনেকেই রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করতে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে। প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে অনেক মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হয়েছে, এই সেই বাংলাদেশ। জাতীর জনক দেশে ফিরে এসে আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে এই সংবিধান উপহার দেন। সেই সংবিধানে রাষ্ট্রীয় চারটি মূল নীতি উল্লেখ করা হয়েছে। এ চারটি মূল নীতির অন্যতম হলো- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। এখানে ড. কামাল হোসেনের নাম এসেছে, তিনি নিজেকে সংবিধানপ্রণেতা হিসেবে দাবি করেন। অনেকে তাকে সংবিধানপ্রণেতা বলেন। আমরা সেই গণপরিষদের সদস্য ছিলাম। সেই সংবিধানে আমাদের স্বাক্ষর আছে। যিনি এই সংবিধানপ্রণেতার দাবি করেন, তিনি কী করে সংবিধান পরিপন্থী কার্যকারণে বিশ্বাস করেন? তোফায়েল আহমেদ বলেন, ড. কামাল একবার নির্বাচনে জেতেন, বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া সিটে। তাও ভোটে নয়, বিনা ভোটে। ১৯৮৬ তে তাকে মনোনয়ন দিলেও তিনি হেরে যান। এটা বড় কথা নয়। হার-জিত আছে। কিন্তু একটা অশুভ ঘটনা হতে চলেছে, আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী এক নাগাড়ে ১০টি বছর কী উন্নয়ন করেছেন, দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কী উজ্জ্বল করেছেন, তা নিয়েও আলোচনা করব। গ্রামীণ ফোনের কলড্রপে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি : বাণিজ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে গ্রামীণ ফোনে কল করার সময় বারবার কলড্রপ হওয়ার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বেসরকারি খাতে প্রথম ড. ইউনূসকে এই গ্রামীণফোন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইদানিং লক্ষ্য করছি, আমরা যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করি, প্রতিবার কলড্রপ হয়। প্রতিটি কলে ৩/৪ বার কলড্রপ হয়। আমি বহুবার গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। আমরা অনেক সময় দেশে ও বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ কল করি। কিন্তু প্রতিবারই কলড্রপ হয়। এটা হতে পারে না। শুধুমাত্র ব্যবসার জন্য এভাবে কলড্রপ চলতে পারে না। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সন্তানদের না নেওয়ার দাবি : কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে আনা এক জরুরি মনোযোগ আকর্ষণ নোটিশে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী বলেন, রাজাকার, আল বদর, আল শামস আমাদের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে। রক্তে ভেজা এই স্বাধীন দেশে সেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি হতে পারে না। সরকারি চাকরিতে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ অক্টোবর ২০১৮/আসাদ/রফিক