জাতীয়

প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের স্থায়ী করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ৫ হাজার ২০০ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষককে (এসিটি) যেকোনো উপায়ে স্থায়ী করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের জন্য নতুন কোনো পদ বের করে স্থায়ী করা হবে। কারণ, তারা অনেক মেধাবী এবং ইতোমধ্যে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আর তাদের অধিকাংশেরই চাকরির বয়স চলে গেছে। সম্প্রতি এসিটিদের স্থায়ীর ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি, মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ এবং ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানভীতি দূর করতে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) আওতায় ২ হাজার ১০০ প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ২০০ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) নিয়োগ করে সরকার। ২০০৮ সালে চালু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। নিয়োগপত্রে চাকরির বিষয়ে বলা ছিল, প্রকল্প সম্প্রসারণ অথবা এমপিওভুক্ত করে চাকরি অব্যাহত রাখা হবে। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের বিদ্যমান নীতিমালা এবং এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী এসব শিক্ষককে নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। ফলে তাদের নিয়োগ নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় এসব শিক্ষক বিভিন্ন সময় সরকারের কাছে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। কয়েক দফা সংবাদ সম্মেলন করে এসব শিক্ষক জানান, অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। প্রকল্পপ্রধান ও মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ক্লাস চালিয়ে যান, ভালো খবর আসবে। আমরা বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি। স্কুল থেকে আমাদের যাতায়াত খরচও দেওয়া হয় না। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ অক্টোবর ২০১৮/হাসান/রফিক