জাতীয়

প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে রিহ্যাবিলিটেশন বিল পাস

সংসদ প্রতিবেদক : প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যবহারিক জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন আইন, ২০১৮ পাস হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন  সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। বিলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীরা নামের আগে বা পরে কী ধরনের পদবি, চিহ্ন, ডিগ্রি ব্যবহার করবেন নিবন্ধিতদের জন্য তা কাউন্সিল নির্ধারণ করে দেবে। কিন্তু অনিবন্ধিত কেউ এসব পদবি, চিহ্ন, ডিগ্রি ব্যবহার করলে কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, নিবন্ধন থাকার পরও বিধি অমান্য করে দেশী-বিদেশী কোনো মিথ্যা উপাধি, ভুয়া ডিগ্রি বা চিহ্ন ব্যববহার করলে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। বিলের তফসিলে রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানের শিক্ষাগত যোগ্যতার মান ও বিবরণ এবং ডিগ্রি, ডিপ্লোমা প্রদানকারী ও সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা সন্নিবেশিত হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতার শিকার। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী যথা ফিজিওথেরাপিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, সাইকোলজিস্ট, নিউট্রলজিস্ট, স্পেশাল এডুকেটর প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। এসব পেশাজীবীর স্বীকৃতি ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য  সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন আইন, ২০১৮ বিল প্রণয়ন করা হয়। এটা একটা নতুন আইন। এর সাথে রাষ্ট্রের অর্থ খরচের বিষয় জড়িত থাকায় বিলটি রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব করলে  কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। রাইজিং‌বি‌ডি/ঢাকা/২৯ অক্টোবর২০১৮/আসাদ/রফিক