জাতীয়

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলো পাঁচটি ‘নি’ : মাহবুব তালুকদার

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে পাঁচটি ‘নি’ দিয়ে সংজ্ঞায়িত করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি এ সংজ্ঞা দেন। মাহবুব তালুকদার বলেন, আমার বক্তব্যের প্রারম্ভে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন-সাধনার কথা। এই স্মরণ কোনো প্রথাগত আনুষ্ঠানিকতা নয়। আজকের আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশার ও আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্র ধরে আমি আমার বক্তব্য পেশ করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল- বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এটা শুধু একটা দেশের পতাকা বা মানচিত্র বদলের নিছক স্বাধীনতা নয়। তার প্রত্যাশা ছিল, স্বাধীন দেশের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র। তার আজন্মলালিত আকাঙ্ক্ষা থেকে তিনি গণতন্ত্রকে মূল ভিত্তি হিসেবে স্বাধীন দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। গণতন্ত্রকে মূল ভিত্তি ধরলে সংবিধানে যথাযথ মর্যাদায় সন্নিবেশিত করতে হবে। গণতন্ত্রের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে রূপরেখায় প্রকাশিত করতে হয়। সংবিধানের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হয়। পাঁচটি ‘নি’ এর ব্যাখ্যায় মাহবুব তালুকদার বলেন, প্রথম ‘নি’ হচ্ছে নিশ্চয়তা। এটা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা। এই নিশ্চয়তার অর্থ ভোটার ও রাজনৈতিক দলের আস্থার সৃষ্টি। দ্বিতীয় ‘নি’ হচ্ছে নিরপেক্ষতা। নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান ও কার্যক্রম চালানোর প্রতিশ্রুতি। কমিশনের পক্ষে এই নিরপেক্ষতা অপরিহার্য। তৃতীয় ‘নি’ হচ্ছে নিরাপত্তা। এই নিরাপত্তা ভোটার, রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকরভাবে নির্বাচনকালে কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা দরকার। চতুর্থ ‘নি’ হচ্ছে নিয়ম-নীতি। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর বিধি-বিধান প্রতিপালনের আওতায় আনা প্রয়োজন। আর পঞ্চম ‘নি’ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। নির্বাচন অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। স্বনিয়ন্ত্রণই নির্বাচন কমিশনের মূল কথা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ নভেম্বর ২০১৮/হাসিবুল/রফিক