জাতীয়

‘নতুন‌ ভোটার‌দের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন ভোটারদের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, তোমাদের হাতেই আগামী দিনের বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের জন্য তোমার পূর্বপুরুষ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল, সে বাংলাদেশ থাকবে কি না, সেটা আগামী ৩০ তারিখ তোমরাই নির্ধারণ করবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, কদিন পরেই আমাদের জাতীয় নির্বাচন। তোমাদের হাতেই আগামী দিনের বাংলাদেশটা নির্ভর করবে। যে বাংলাদেশের জন্য তোমার পূর্বপুরুষ, তোমার ভাই, তোমার বাবা, তোমার দাদা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল। সে বাংলাদেশ থাকবে, কি থাকবে না, সেটা আগামী ৩০ তারিখ তোমরাই নির্ধারণ করবে। আমরা কাকে নির্ধারণ করব, তা আমরা ঠিক করে ফেলেছি। তোমরা নির্ধারণ করবে, কোন বাংলাদেশটা তোমরা আগামীতে দেখতে চাও। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তা এখনো স্বীকার করে না অনেকেই। বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে গত বছর সম্ভবত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বড় মাপের বিএনপি নেতা বলে, বুদ্ধিজীবীরা বোকা ছিল, বেকুব ছিল। তা না হলে তারা ১৪ তারিখ রাতে কেন বাড়িতে থাকবে? আমরা ৭১/৭২ সনে চিন্তা করিনি রাজাকার, আল বদর, জামায়াত সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশের অনেকগুলো রাজনৈতিক দল থাকবে, সবগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করবে। সবগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করবে। আমরা দেখলাম, পঁচাত্তর-পরবর্তী সনে সেই বাংলাদেশ ঠিক উল্টো হয়ে গেল। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল। সে সময় বাংলাদেশে গোলাম আযম ফিরে আসলেন। এবং তাকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হলো। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে যে দলটি আমাদের এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, আমাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিল সেই দলটিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হলো। এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার স্ত্রী বেগম জিয়া সংসদে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদকে সদস্য করার সুযোগ করে দিয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। ইউজিসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একদিনের জিনিস না। এটা নিত্যদিনের চর্চার জিনিস। সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। সব সময় ইতিহাসের কথা মনে রাখবেন, ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস, কলামিস্ট ও ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ডিসেম্বর ২০১৮/সাওন/রফিক