জাতীয়

সেতু ও স্থাপনাদি নির্মাণে বিআইডব্লিউটিএ’র ছাড়পত্র নিতে হবে

সচিবালয় প্রতিবেদক : নিরাপদ এবং সুষ্ঠু নৌ-চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে জলপথের ওপর ও তীরভূমিতে ছোট-বড় যে কোন ধরণের সেতু ও স্থাপনাদি নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ছাড়পত্র নিতে হবে। নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এমন ধরণের কোন সেতু ও স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা। রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ-পথে বিদ্যমান লো-হাইট ব্রিজ অপসারণের কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ‘প্রথম’ ‘দ্বিতীয়’ ‘তৃতীয়’ ও ‘চতুর্থ’ এ চার শ্রেণির জলপথ রয়েছে। সরকার এ সংক্রান্ত বিধিমালা ২০১০ এর সংশোধন করে ২০১৮ এর ১৩ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র আওতায় প্রথম শ্রেণির জলপথ রয়েছে ৩১টি, দ্বিতীয় শ্রেণির জলপথ ৪৯টি, তৃতীয় শ্রেণির জলপথ ১০টি এবং চতুর্থ শ্রেণির জলপথ ৫টি। সভায় জানানো হয়, প্রথম শ্রেণির জলপথে সারাবছর সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৬০ থেকে ৩ দশমিক ৯০ মিটার, দ্বিতীয় শ্রেণির জলপথে সারাবছর সর্বনিম্ন ২ দশমিক ১০ থেকে ২ দশমিক ৪০ মিটার, তৃতীয় শ্রেণির জলপথে সারাবছর সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৫০ থেকে ১ দশমিক ৮০ মিটার পানির গভীরতা বিদ্যমান থাকে। চতুর্থ শ্রেণির জলপথে শুষ্ক মৌসুমে ১.৫০ মিটারেরও কম পানির গভীরতা থাকে। সভায় আরো জানানো হয়, সেতু নির্মাণের জন্য প্রথম শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ১৮ দশমিক ৩০ মিটার ও হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৭৬ দশমিক ২২ মিটার, দ্বিতীয় শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ১২ দশমিক ২০ মিটার ও হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৭৬ দশমিক ২২ মিটার, তৃতীয় শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে  ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৭ দশমিক ৬২ মিটার ও  হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৩০ দশমিক ৪৮ মিটার, চতুর্থ শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে  ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম পাঁচ মিটার ও হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ২০ মিটার। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান  কমোডর এম জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসান/শাহনেওয়াজ