নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দীর্ঘ ১০ বছরে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্মানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা আধুনিক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। শিক্ষা পরিবারের সবার সহযোগিতায় আমরা একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি। এটা সবার অবদান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, আমার যে কৃতিত্ব তা আপনাদের সবার। আমি যা নই, তার চেয়ে বেশি দায়িত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কৃতিত্বের অধিকারী করেছেন। তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন বলেই আমার এই কৃতিত্ব। তবে এই কৃতিত্ব সবার। আমি আমার দায়িত্ব নিষ্ঠার দায়িত্ব সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করেছি। তিনি আরো বলেন, নতুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একজন অভিজ্ঞ বিচক্ষণ মানুষ। শিক্ষা পরিবারের যে অগ্রগতি তা তিনি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আপনারা সবাই তাকে সহযোগিতা করবেন। গত ১০ বছরের সফলতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। যাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়া সহজ হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অবদান তুলে ধরে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ছেলে ও মেয়েদের ভর্তিতে সমতা এসেছে। এটি বড় অর্জন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোরাব হোসাইন বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কখনো দ্বিমত হয়নি আমার। বাংলাদেশ বিশ্বে চার বিষয়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। তার মধ্যে দুটিই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। নারীর অবস্থান ও জন্মহারে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা। এছাড়া, শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের এনরোলমেন্ট ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সেরা। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষারও অবদান রয়েছে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবিসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা তাকে ফুল দিয়ে সম্মান জানান। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ) অধ্যাপক শামসুল হুদা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জানুয়ারি ২০১৯/আসাদ/রফিক