জাতীয়

‘গণধর্ষণে নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তি আগে বিএনপিতে ছিলেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় নেতৃত্বে যার নাম এসেছে, তিনি আগে বিএনপিতে ছিলেন বলে দাবি করে‌ছেন প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচন-২০১৮ : অপরাজনীতির প্রস্থান ও নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রাক্তন বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, সেই নেতা অতীতে বিএনপিতে ছিলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি আওয়ামী লীগের অত্যন্ত নিম্ন স্তরের নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, সরকার ওই ঘটনায় আউট অব দ্য ওয়েতে পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আমিও চাই, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে এই প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এইবার নির্বাচনে বহু দেশের পর্যবেক্ষক এসেছিলেন। নেপাল, ভারত, ওআইসি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এসেছিলেন। কেউ কিন্তু মৌলিক অনিয়মের কোনো কথা বলেননি। ছোটখাটো দু-একটি ঘটনা ঘটেছে। গোলটে‌বিল আলোচনায় আরো উপাস্থত ছি‌লেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আলী সিকদার, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমুখ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জানুয়ারি ২০১৯/সাওন/রফিক