জাতীয়

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেবে শিল্প মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, আগামী দিনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ডে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানের প্রতিফলন ঘটবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে কোনো অবস্থায় দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বক্তব্য রাখেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম। এ সময় গত ১০ বছরে শিল্প মন্ত্রণালয় অর্জিত সাফল্য, মন্ত্রণালয়ের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি  উপস্থাপনা এবং ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের সাফল্য উপস্থাপনকালে জানানো হয়, গত ১০ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানাগুলোর পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর ফলে জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের অবদান জোরদার হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ইশতেহার অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে শিল্প খাতে ২৫ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। দেশীয় শিল্প কারখানায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি ‘শিল্প বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করবে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিগত ১০ বছরে মন্ত্রণালয় সূচিত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি বিদায়ী শিল্পমন্ত্রীর মূল্যবান পরামর্শ কামনা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর শিল্প দর্শনের আলোকে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, জনগণের আস্থা ও সমর্থ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে শিল্প মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। নতুন শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সমাপ্ত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী দিনে শিল্প খাতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৯/নাসির/রফিক