জাতীয়

‘মনে রাখতে হবে, মানুষ বিপদে পড়ে হাসপাতালে আসে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুসরণ করে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাবে। স্বাস্থ্য খাতের মানোন্নয়নে নজরদারি ও মনিটরিং জোরদার সরকারের মূল লক্ষ্য থাকবে। সোমবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। হাসপাতালে এসে কাউকে যেন দুর্ভোগে পড়তে না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মনে রাখতে হবে, মানুষ বিপদে পড়ে হাসপাতালে আসে, চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। রোগীরা যেন হাসিমুখে সেবা পায় তা নিশ্চিত করাই সবার দায়িত্ব। মন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে জনগণ যে বিশাল ম্যান্ডেট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে তার নেপথ্যে তাদের বিশাল প্রত্যাশা কাজ করেছে। জনগণের সেই পাহাড়সম প্রত্যাশা পূরণে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। বিশেষ করে, চিকিৎসক সমাজের ইমেজ সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে রোগীদেরকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ সচেতন থেকে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পরে তারা জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে চিকিৎসাসেবার খোঁজ নেন। নিটোর পরিদর্শনকালে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গণি মোল্লার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী হাসপাতাল তিনটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, প্যাথলজি সেন্টার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বাংলাদেশ-তার্কিশ কেমোথেরাপি ইউনিট, কিডনি হাসপাতালে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় বাস্তবায়িত হেমোডায়ালাইসিস ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে চিকিৎসা ও সেবার মান সম্পর্কে ধারনা নেন এবং তাদের পরামর্শ শোনেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তারা হাসপাতালগুলোর ভবন সম্প্রসারণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৯/সাওন/রফিক