জাতীয়

দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার দণ্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার আট কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালত। বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন। ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের দুদকের পিপি মজিবুর রহমান জানান, সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার পেনশন হোল্ডার ও ভুয়া পেনশন হোল্ডারদের তালিকা দেখিয়ে ৪৭ লাখ ২ হাজার ৬২৮ টাকা ৩৮ পয়সা সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ওই শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সোবহান বাদি হয়ে ব্যাংকটির ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা করেন। এদের মধ্যে দুইজন মামলা চলাকালে মারা যান। মামলাটি তদন্ত করেছেন ফরিদপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল বাশার। মজিবুর রহমান বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখার সাবেক অফিসার ক্যাশ অমল চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক অফিসার ক্যাশ এম এইচ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক অফিসার ক্যাশ মো. মুনছুরুল হক, সাবেক অফিসার ক্যাশ মোশাররফ হোসেন মোল্লা, সাবেক অফিসার ক্যাশ গোলাম মোহাম্মদ মুন্সী, সাবেক অফিসার ক্যাশ দিলীপ কুমার মণ্ডল, সাবেক হেড ক্যাশ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী খন্দকার ও শওকত হোসেন মোল্লা।’ তিনি জানান, এদের মধ্যে আসামি হেড ক্যাশ অফিসার শওকত হোসেন মোল্লাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও আত্মসাৎকৃত টাকার সমপরিমাণ জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৭ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। বাকি সাতজনকে প্রত্যেককে ১৮ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শওকত হোসেন মোল্লা ছাড়া বাকিরা উপস্থিত ছিলন। রায়ের পর তাদের ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

       

রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৩ জানুয়ারি ২০১৯/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/সাইফুল