জাতীয়

‘ব্যারিস্টার রাজ্জাক যেন সবার প্রিয় না হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন  চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব পদত্যাগ করেছেন এবং একটি বিবৃতি দিয়েছেন। আমি আশঙ্কায় আছি, তিনি আবার যেন সবার প্রিয় হয়ে না যান। তাদের দল না থাকতে পারে কিন্তু তাদের রাজনৈতিক দর্শন তো আর শেষ হয়ে যাচ্ছে না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। মিজানুর রহমান বলেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাক জামায়াত‌কে জাতির কাছে মাফ চাইতে বলছেন, কিন্তু তাই বলে তাদের নীতি-আদর্শ চ‌লে যা‌বে না, থেকে যাবে। মিজানুর রহমান বলেন, এ দেশের আমলাতন্ত্র যেভাবে চেপে বসে আছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের সময় লাগবে। সব ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিরাজ করছে। আমাকে ২০১০ সালে যখন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান করা হলো, তখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমাকে ফোন করে বলেছিল, মিজান, তোমার জন্য অনেক যুদ্ধ করতে হয়ছে। তোমাকে আমলারা চেয়ারম্যান হতে দিতে চায়নি। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রগতিশীল চিন্তার ধারক ছিলেন। কিন্তু চেতনাগতভাবে এখনো পূর্ণ হতে পারিনি। আমরা যদি ’৭১ এর চেতনার কথা বলি, এখনো বিরোধী শক্তি কি কম আছে। দেশে অর্পিত সম্পত্তি আইন হলেও তা ছয় বার সংশোধিত হয়েছে। তাদের আন্দোলন ছিল হিন্দু নারীদের বিবাহবিচ্ছেদ। এটা তাদের অধিকার। হিন্দু নারীদের সম্পত্তির ভাগ পাওয়া এবং হিন্দু বিবাহ আইন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ মেহেদী/রফিক