জাতীয়

শপথ নিলেন নারী এমপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শপথ নিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্যরা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। সংসদ ভবনের নিচতলায় শপথ কক্ষে তাদের শপথ পাঠ করানো হয়। সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রথমে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। এরপর জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। পরে ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র পার্টির একজন শপথ নেন। প্রথম ধাপে স্পিকার আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজনসহ মোট ৪৫ জন সংসদ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দ্বিতীয় ধাপে তিনি জাতীয় পার্টির চার জন সংসদ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দুই ধাপে সর্বমোট ৪৯জন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি, হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি, হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি , হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি এবং হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি  উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্যেগণের নির্বাচনী এলাকার নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শপথ শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সচিবের কার্যালয়ের খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং একসঙ্গে তাদের ছবি তোলা হয়। এ ছাড়া নারী সাংসদের আইডি কার্ডের জন্য পৃথক পৃথকভাবে তাদের ছবি তোলা হয়। ছবি তোলার ফাঁকে ফাঁকে সংসদের তৃতীয় তলায় ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ায় তাদের নাস্তা করানো হয়। এর আগে গত রোববার নারী সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির যুগ্মসচিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, ৪৯টি নারী আসনের কোনোটিতে একাধিক প্রার্থী না থাকায় কমিশন সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপির এমপিরা এখনো শপথ না নেওয়ায় তাদের নির্ধারিতে একটি আসন এখন শূন্য রয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযাযী ১১ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন ৪৯টি সংরক্ষিত নারী আসেনের বিপরীতে ৪৯ জন প্রার্থী মনোননয়নপত্র দাখিল করেন। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনের সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। শনিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও এদিন কোনো প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আসাদ/ইভা