জাতীয়

চুড়িহাট্টা এখন মৃত্যুপুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা। অন্যদিন সব সময় থাকতো লোকে লোকারণ্য। কিন্তু ভয়াবহ অগ্নিকা-ের পর এখন যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ওয়াহিদ ম্যানসনের ভেতরে ও বাইরে পুড়ে সব কালো হয়ে গেছে। পাশের আরও ৩টি ভবনেরও একই অবস্থা। সেগুলোতে সব ধরনের মালামাল পুড়ে গেছে। ভবন জুড়ে ক্ষতচিহ্ন। দেয়াল ভাঙা, কংক্রিটের পিলার বেরিয়ে আছে। প্লাস্টার খসে পড়েছে, গ্রিল বাঁকাচোরা, ভেতরে জিনিষপত্র যে কিছু ছিল তা বোঝার উপায় নেই। রাস্তায় পড়ে আছে জ্বলে ছারখার হয়ে যাওয়া কয়েকটি মোটর গাড়ির অবশেষ। আরো পড়ে আছে অনেক রিকশা ও মোটর সাইকেলের পুড়ে যাওয়া কাঠামো। বাতাসে কেমিক্যালের গন্ধও পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইমরান মিয়া বলছিলেন, ভবনটির মালিকের দুই ছেলে আসাদ ও সোহেল বাড়িটির দেখাশোনা করতেন। তারা এই বাড়িতেই থাকতেন। তবে তারা বিয়ের অনুষ্ঠানে সিলেট আছেন। আবার বাড়িটি চার রাস্তা মোড়ে। এ কারণে সব সময় যানজট লেগেই থাকতো। ঘটনার সময় রিকশা, মোটর সাইকেল ও অন্য সব যানবাহনে থাকা অনেক যাত্রী এবং পথচারি দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর যানবাহগুলো পুড়ে যায়।’ নিহত একজনের স্বজন সোহেল পারভেজ জানান, ‘তারা চকবাজার এলাকাতেই থাকেন। ভাই মোহাম্মদ আলী তিন বছর বয়সী ছেলে আরাফাতকে ডাক্তার দেখিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন, আরেক ভাই অপু রায়হান। তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।  বিস্ফোরণের ঘটনায় তারা সেখানেই মারা গেছেন।’ উল্লেখ্য, অগ্নিকা-ে ৭০ জন মারা গেছেন। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মাকসুদ/শাহনেওয়াজ