জাতীয়

‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। বঙ্গবন্ধু ২১ ফেব্রুয়ারির সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিয়েছিলেন। যার হাত ধরে পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।’ শনিবার  জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আজ আমরা স্বাধীন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল কি না, সে ব্যাপারে ১৯৮৪ সালে বঙ্গবন্ধুর বাসার সামনে সেই সময়ে ভাষা আন্দোলনকারী যারা জীবিত ছিলেন তাদের নিয়ে একটা সেমিনার করেছিলাম। সেখানে তাদের প্রত্যেকটা বক্তব্য রেকর্ড করে একটা বই বের করেছিলাম। যেখানে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে, সদ্য গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে ১১ মার্চ যে সাধারণ ধর্মঘট হয়েছিল সেই ধর্মঘটে, সেই হরতালে, প্রথম যিনি রাজবন্দি হয়েছিলেন, তিনি তখনকার যুবনেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ১১ মার্চ এর যে রাজবন্দি তার পিছনে প্রধান কারণ হলো এই ভাষা। ১৯৪৮ সালে যুবনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখনই ধারণা করতে পেরেছিলেন ভাষার গুরুত্ব এবং পাকিস্তান একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র এবং অপসংস্কৃতির রাষ্ট্র। বাংলা ভাষার ওপর আঘাত করে প্রথমেই প্রমাণ করলেন সে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প নিয়ে খেলবে। সেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ১৯৫৩ যে প্রথম প্রভাতফেরি, সেটি খালি পায়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হয়েছিল। দেখুন ১৯৪৮ থেকে ৫৩'র প্রথম প্রভাতফেরি পর্যন্ত এই যতগুলো ঘটনা, সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি অম্লান। আলোচনা সভায় নেপালে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মোকাদ্দেস হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার গোস্বামী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাজেদুল আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মেহেদী/রফিক