জাতীয়

‘স্থানীয় ভোটে শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের গণতন্ত্রের অভিযাত্রার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনো নির্বাচনেই কোনো রূপ শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। এ নির্বাচনকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আপনারা কেবল অগ্রণী ভূমিকা নয়, সামগ্রিক ভূমিকা পালন করবেন। এই নির্বাচনে কোনো প্রকার চাপ, লোভ বা প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশের গণতন্ত্রের অভিযাত্রার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো নির্বাচনেই কোনো রূপ শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে আপনাদেরকে সাহসিকতার সঙ্গে স্বীয় বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখবেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের দেশপ্রেমের অভিব্যক্তি। তবে এসব কথা আমরা অতীতে বলেছি, বর্তমানেও বলছি এবং ভবিষ্যতেও বলব। নির্বাচনে সাফল্য লাভের জন্য কথাগুলো আমাদের সব সময়ের পরামর্শ।’ প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা যেহেতু প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক, সেহেতু একটি বিষয়ে আপনাদের সর্তক করতে চাই। এখানকার আলোচ্য সূচিতে প্রতিটি বিষয়কেই আপনাদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে অস্পষ্টতা থাকলে, তা এখানে নিরসন করা বাঞ্ছনীয়। কোনো বিষয়ে যদি কারো বিভ্রান্তি থাকে, তাহলে আপনারা যাদের প্রশিক্ষণ দেবেন, তাদের মধ্যে সে বিভ্রান্তি সঞ্চারিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ, এখান থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে আপনারা যাদের প্রশিক্ষণ দিতে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে প্রতিটি বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা সঞ্চারিত করা প্রয়োজন। একজন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষককে নির্বাচনের প্রতিটি বিষয়ে অবশ্যই হতে হবে স্বচ্ছ ধারণার অধিকারী। তা না হলে সামগ্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনার ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরো বলেন, আমি নিজে প্রশিক্ষক ছিলাম। আজ এখানে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, আমি কী প্রশিক্ষক, নাকি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক, নাকি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক? পরিচিতি যাই হোক না কেন, প্রশিক্ষণের বিষয়টিকে আমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ, যিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তিনি আর একই ব্যক্তি থাকেন না। তিনি প্রশিক্ষণের পর যেন ভিন্ন ব্যক্তিতে পরিণত হন। প্রশিক্ষণ একদিকে প্রশিক্ষণার্থীর মেধা, মনন, বুদ্ধি ও দক্ষতাকে শানিত করে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি বিষয়বস্তুকে আরও গভীরভাবে অনুধ্যানের নিমিত্ত সুযোগ সৃষ্টি করে, তাতে প্রশিক্ষণার্থী নিজেকে আরও চৌকস করে গড়ে তুলতে পারেন। অন্যদিকে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে যে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেন, তাকেও শানিত বলা যায়। একদিকে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্যদিকে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে একজন কর্মকর্তা তার যোগ্যতাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারেন বলে আমি মনে করি।’ রাইজিংবিডি/ ঢাকা/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসিবুল/শাহনেওয়াজ