জাতীয়

‘সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নয়, বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে বিশাল সম্পদ-সুনীল অর্থনীতি। সরকার বিশাল এ সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে কাজ করছে। সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সুনীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ডাবল ডিজিটে নিয়ে যাব। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ব্লু ইকোনমি এন্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ১৪ : বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’  শির্ষক এক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সমুদ্র আইন তৈরি করে দিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমুদ্র সীমানা বিজয় করেছেন। সমুদ্রের বিশাল এলাকা কাজে লাগাতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ সম্ভব হবে।’ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে সমুদ্র সীমানা দিয়ে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে সমুদ্র সম্পদের ৯০ ভাগ কাজে লাগাতে পারতাম, আর বাকি ১০ ভাগ নিয়ে আলোচনা করতাম।’ তিনি বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়সংকল্প নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে আমাদের সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবঃ) খুরশেদ আলম। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রইছউল আলম মণ্ডল। ওয়ার্কিং সেশনে ‘মেরিটাইম এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট’ বিষয়ক পেপার উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ক্যাপ্টেন এ কে এম শফিকউল্লাহ। এ বিষয়ে আলোচনা করেন মেরিন কেয়ার লিমিটেডের কনসালটেন্ট ক্যাপ্টেন জিল্লুর রহমান এবং মেরিটাইম বিষয়ক আইনজীবী মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের। ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর ব্লু গ্রোথ এন্ড এনহান্সড রিজিওনাল সি ট্রেড’ বিষয়ক দ্বিতীয় পেপার উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় পেপারের বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ এবং ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমির কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন জাকি আহাদ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৯/সাওন/শাহনেওয়াজ