জাতীয়

সরে যাচ্ছেন সড়ক অবরোধকারীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাসচাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ার পর সেখান থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে মঙ্গলবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী ব্যস্ততম বাড্ডা-রামপুরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছিলেন। সড়ক অবরোধের সময় কিছু যুবক বাসে আগুন দিতে গেলে বিইউপির ছাত্ররা তা প্রতিহত করে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ভাটারা থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্রদের দাবিগুলো মানা হয়েছে। তারা সরে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। অনেকে চলেও গেছেন। বিকেল নাগাদ সবাই রাস্তা থেকে চলে যাবেন বলে আমাদের বলেছেন।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্নভাবে থাকা শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। অনেকেই সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সহপাঠী নিহতের ঘটনায় বিচার হতে হবে। কেননা, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেই আমাদের ভাইকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা সড়কে আর কোনো প্রাণহানি দেখতে চাই না। এ সময় তারা ১২ দফা দাবি জানাচ্ছিলেন। রাস্তায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। কিছু গাড়ি যানজটে আটকে ছিল। এদিকে, মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে কয়েকজন যুবক। তারা ছাত্র নয় বলে জানান বিইউপির ছাত্ররা। এ সময় একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জানা গেছে, ছাত্রদের সঙ্গে এলাকাবাসীও এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন। তারাও ছাত্রদের সঙ্গে রাস্তায় অবস্থান নেন। রামপুরার রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আজ একজন মারা গেছে। কাল হয়তো আমার সন্তানেরও এভাবে জীবন কেড়ে নেওয়া হতে পারে। মূলত এ কারণেই আমরা ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দিতে এসেছি।’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের কাছে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মার্চ ২০১৯/মাকসুদ/রফিক