জাতীয়

‘নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন একপেশে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রতিবেদন একপেশে। বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময়ে মনগড়া তথ্য প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনটি একপেশে। এটি মূলত কিছু সংস্থার পাঠানো প্রতিবেদন থেকে তৈরি হয়েছে। রিপোর্টেও সেই সমস্ত সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা এ প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করছি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। অতীতের অনেক নির্বাচনের তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশটির ২৩ লাখ লোক কারাগারে থাকে। যেটি জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের ভিত্তিতে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। সাদা মানুষের তুলনায় কালো মানুষের কারাগারে থাকার হার ছয়গুণ। পুলিশের গুলিতে সাদা মানুষের তুলনায় কালো মানুষের হার আড়াইগুণ। সহজেই অনুমেয় সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন! যারা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছিল তাদের সন্তানদের মা-বাবাদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এ পরিস্থিতি নিজ দেশেই সমালোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ রিপোর্ট কোনো প্রভাব ফেলবে না। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব ভালো। এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একটি বড় দল নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে অংশ নিচ্ছে না। এজন্য তেমন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হচ্ছে না। তবে পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় এ নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মার্চ ২০১৯/আসাদ/সাইফ