জাতীয়

দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে কম

নিজস্ব প্রতিবেদক : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট দেওয়ার হার কমেছে। দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রথম ধাপে ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দ্বিতীয় ধাপে সবচেয়ে বেশি ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে। খাগড়াছড়ির আরেক উপজেলা দিঘীনালায় ভোট পড়েছে ৭৮ দশমিক ১২ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সিলেটের আরেক উপজেলা জৈন্তাপুরে ভোট পড়েছে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও বিএনপিসহ অনেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। ৫ ধাপে ৪৮০টি উপজেলার নির্বাচন হচ্ছে। গত ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হয়। ইসি থেকে পাওয়া প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, দ্বিতীয় ধাপের ১২৩টি উপজেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৭৮টিতে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ৩৮ জন। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন দুজন। রাঙামাটির ৮টি উপজেলার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় পর্বের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৯টি উপজেলায় ভোট পড়ার হার ৪০ শতাংশের কম। পাবর্ত্য জেলা বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ভোট পড়ার হার বেশি। বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। খাগড়াছড়ির উপজেলাগুলোতে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়েও ভোট পড়ার হার তুলনামুলক বেশি। দ্বিতীয় ধাপে এই জেলার পাঁচটি উপজেলার চারটিতে ৫৬ থেকে ৭১ শতাংশের ভোট পড়েছে। তবে ঠাকুরগাঁও সদরে ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে উত্তরের জেলা বগুড়ার গাবতলী ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোতে ভোট পড়েছে ১৩ থেকে ৪৮ শতাংশ। গাবতলীতে ভোটের হার ৬৫ দশমকি ৩২। আর বগুড়া সদরে ১৩ দশমিক ১৩। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার উপজেলাগুলোতেও ভোটের হার তুলনামূলক কম। এর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে রাজশাহীর বাগমারায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছিল ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ছয়টি উপজেলায় ৩০ শতাংশের নিচে ভোট পড়ে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মার্চ ২০১৯/হাসিবুল/রফিক