জাতীয়

‘জন্মেছি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন,  আমরা জন্মেছি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। সব সময় আমাদেরকে সামনের দিকেই এগিয়ে যেতে হবে। জীবনে পতন বলতে কিছু নেই। উত্থান-পতন নয়, কাজের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছি কিনা সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।’ শুক্রবার রাজধানীতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ বই নিয়ে ‘লেখক-পাঠক আলাপন’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। লেখক-আলোচকদের মধ্যে অলোচনা করেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক, বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম শমশের আলী, ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী, অধ্যাপক ডা. তাহমীনা বেগম এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এম রেজাউল হাসান। আলোচকরা বলেন, তরুণদের শুধু বয়স বা শারীরিক বিকাশ নয়, মানসিক বিকাশও ঘটাতে হবে। বস্তুগত চাওয়া-পাওয়া নয়, নৈতিকতায় এগিয়ে যেতে হবে, সৃজনশীল হতে হবে। মানসিক উন্নতির মাধ্যমে নিজের জীবনকে সার্থক করে গড়ে তুলতে হবে।   তারা বলেন, লেখক-পাঠকের উপলব্ধি-জগতকে আলোড়িত ও সংহত করার পাশাপাশি কোয়ান্টামের এমন আয়োজন মানুষের আত্মবিকাশের পথে অক্লান্ত হেঁটে চলার সাহস ও শক্তি জোগাবে।  অনুষ্ঠানে ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ বই থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠের পাশাপাশি চলতে থাকে পাঠকের কাছ থেকে প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর দেন লেখকরা। চলতে থাকে আলোচনা। এভাবেই পুরো অনুষ্ঠান মুখরিত হয়ে ওঠে লেখক-পাঠকের নানামুখী চিন্তা ও ভাবনার আদান-প্রদানে।  প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের সর্বজনশ্রদ্ধেয়, সমাজ-সচেতন, কর্মপ্রাণ ও সার্থক মানুষদের চিন্তা জ্ঞান প্রজ্ঞার এক অনুপম সম্মিলন ঘটেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ সংকলন গ্রন্থে। কোয়ান্টামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা সময়ে আমন্ত্রিত ৩৩ জন গুণী মানুষের প্রেরণার এই সংকলনে তাদের জ্ঞানঋদ্ধ আলোচনায় সমসাময়িক প্রসঙ্গের পাশাপাশি উঠে এসেছে সঙ্ঘবদ্ধতা, সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা ও মানবকল্যাণে কর্মব্যস্ততার সার্বজনীন গুরুত্ব। ডা. আতাউর রহমান সম্পাদিত ‘বিকশিত হোক শত ভাবনা’ বইটি ১৭৬ পৃষ্ঠার। প্রচ্ছদ ও নকশা করেছেন মাসুম রহমান। বইটির মূল্য ২৪০ টাকা। সংকলন-গ্রন্থটি সর্বস্তরের পাঠককে বিশেষভাবে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/৪ এ‌প্রিল ২০১৯/আসাদ/শাহনেওয়াজ