জাতীয়

স্বাধীনতাবিরোধীদের তথ্য প্রকাশ করবে সরকার

সচিবালয় প্রতিবেদক : একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল সেসব স্বাধীনতাবিরোধীদের তথ্য প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।  এর আগে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি উদ্যোগ ফলপ্রসূ না হলেও এবার কাজের আওতা বাড়িয়ে বিষয়টি সফল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‍সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ এবং সরবরাহের জন্য সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।  বিষয়টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকের কার্যপত্রেও উল্লেখ ছিল। রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা আটকে আছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বা স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তবে এই আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জাতীয় সংসদ ও সংসদের বাইরে একাধিকবার স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এমনকি সাবেক নৌমন্ত্রী ও বর্তমানে এই কমিটির সভাপতিও এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি। এক্ষেত্রে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) আইন সংশোধনের পাশাপাশি বিদ্যমান বিধিতেও কোনো ধরনের সংশোধনের প্রয়োজন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে আরো সুপারিশ করা হয়েছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গণপরিষদে নির্বাচিত সদস্যদের আসন অবৈধভাবে শূন্য ঘোষণা করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাদের সদস্য করা হয়েছিল, তাদের তালিকা করার বিষয়টি অ্যালোকেশন অব বিজনেসে অন্তর্ভুক্তি করা। সূত্র জানায়, ১৯৯৭-৯৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অনুবিভাগে কোলাবোরাটর সেকশনে রক্ষিত ফাইলে ৪৪ হাজার রাজাকার, ৮ হাজার আল-বদর এবং ৩ হাজার আল-শামসের পূর্ণাঙ্গ তথ্য ছিল। কিন্তু এগুলো এখন আছে কি না, সে বিষয়ে জানে না মন্ত্রণালয়। তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিষয়ে সংরক্ষিত ফাইলগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বলেছে সংসদীয় কমিটি। ওই সময়ে যেসব রাজাকার জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বেতন-ভাতা নিত, তাদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে ডিসিদেরকে গোপন বার্তা পাঠানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বলেছে কমিটি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ মে ২০১৯/হাসান/সাইফুল