জাতীয়

তবুও কমলাপুরে সেই চির চেনা ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকেটপ্রত্যাশীদের সুবিধার্থে প্রথমবারের মতো রাজধানীর পাঁচ স্থানে একযোগে টিকিট বিক্রি চলছে। কিন্তু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যেন এসেছে সবাই। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে মঙ্গলবার রাত থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এখানে এবছরও প্রতিবছরের সেই চির চেনা উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। সরেজমিন রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারের সামনের ফাঁকা জায়গা ছাড়িয়ে ভিড়ের বিস্তৃতি স্টেশনের প্রবেশপথ পর্যন্ত। কাউন্টারের সামনে শুধু টিকিটপ্রত্যাশী মানুষ আর মানুষ। কাউন্টার চত্বর ছাপিয়ে টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘলাইন পাশের সড়ক পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। এদিকে, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কাটতে তেমন জটিলতা হচ্ছে না। তবে জন্মসনদ দিয়ে টিকিট কাটতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। অনেকের ডিজিটাল কোডের জন্মসনদ না থাকায় এই জটিলতা তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদে কোনো ঝামেলা না থাকলে রেজিস্ট্রেশনসহ সব মিলে একটি টিকিট পেতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগছে। আজ টিকিট বিক্রির প্রথমদিনে বিক্রি হচ্ছে ৩১ মের টিকিট। প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট কালোবাজারীদের তেমন দৌরাত্ম্য নেই। নারী ও পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকিট কেনার পদ্ধতি হওয়ায় এবার অনেকটাই কমেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। ঢাকা থেকে সবগুলো আন্তঃনগর ট্রেন মিলিয়ে দিনে প্রায় ৩০ হাজার ট্রেনের টিকিট রয়েছে। এর মধ্যে ৫ ভাগ রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী ও ৫ ভাগ ভিআইপি ছাড়া বাকি সব টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইন, এসএমএস ও অ্যাপে পাওয়ার কথা। তবে ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তির ভোগান্তি লাঘবে রেলওয়ের চালু করা নতুন অ্যাপ ‘রেল সেবা’কাজ করছে না বলে অভিযোগ করছেন অনেকে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও রেলের অ্যাপস ‘রেল সেবা’য় প্রবেশ করা যায়নি। একবার প্রবেশ করা গেলেও ভেতরে টিকিট কেনার অপশনে যাওয়া যায়নি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৯/হাসান/ইভা