জাতীয়

সম্প্রচার আইন দ্রুত সংস‌দে উপস্থাপ‌নের প্রত্যাশা তথ্যমন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : অনলাইন গণমাধ্যমগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরা‌তে সংস‌দে সম্প্রচার আইন উপস্থাপ‌নের প্রত্যাশা ব্যক্ত ক‌রে‌ছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার দুপু‌রে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সংবাদপত্র পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শে‌ষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব‌লেন, আইন করতে কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। হুট করে করা যায় না। সম্প্রচার আইন একটি সংবেদনশীল আইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে, সবার মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়ে নীতিমালা করা হয়েছে, কিন্তু আইন করতে আমাদের যত্নবান হতে হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে আছে, সেখান থেকে খুব শিগগির পাব বলে আশা করছি। আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত এটি পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া যায়। হাছান মাহমুদ বলেন, এখন সংবাদপত্রের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, একই সঙ্গে অনলাইন গণমাধ্যমেরও ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশে ১০ বছর আগে হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা ছিল। এখন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি অনলাইন পত্রিকা আছে। যেগুলোকে আমরা খুব শিগগিরই নিবন্ধনের আওতায় আনব। তি‌নি ব‌লেন, এখন যে কেউ একটি অনলাইন পত্রিকা খুলে বসছে, কোনো নিবন্ধন নিতে হচ্ছে না। এভাবে তো হওয়া উচিত নয়। সম্প্রচার আইন পাস হলে এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অপরাজনীতি না করার আহ্বানও জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তার চিকিৎসায় সরকারের চেষ্টার কোনো কমতি নেই।  খালেদা জিয়াকে কারাগারে একজন ডাক্তার, নার্স ও একজন গৃহপরিচারিকা সার্বক্ষণিক দেওয়া হয়েছে। কারাগারে তিনি যে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন এশিয়া মহাদেশের কেউ এমন সুযোগ পেয়েছে বলে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, যেহেতু তার আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আছে, এ কারণে তার জন্য অন্যান্য বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়া, ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা সময়ে সময়ে তার সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। তারপর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।  তথ্যমন্ত্রী ব‌লেন, খালেদা জিয়ার যে অসুবিধাগুলোর কথা বলা হচ্ছে, এগুলো তো বহু বছরের পুরনো সমস্যা। তার হাঁটুর সমস্যা। নি (হাঁটু) ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে আজ থেকে প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি আগে। এই সমস্যাগুলো নিয়েই তিনি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, এই সমস্যাগুলো মাঝে মাঝে বাড়ে এবং মাঝে মাঝে কমে। সুতরাং এগুলো নতুন কোনো সমস্যা নয়। এছাড়া, কয়েক দিন আগে তার জিহ্বায় কামড় লেগে ঘা হয়েছিল, এজন্য তিনি স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছিলেন না। জিহ্বায় এই রকম কামড় আমাদেরও লাগে, তখন তো অন্য কেউ কামড় দেয় না। সুতরাং জিহ্বায় কামড় লেগে ঘা হয়েছিল সেজন্য তিনি স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছিলেন না। সেই সমস্যাও কেটে গেছে। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব, এভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অপরাজনীতি না করার জন্য। খা‌লেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যদি বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া জানতে পারতেন তাহলে তিনি নিজেই উষ্মা প্রকাশ করতেন। সরকারকে বাইরে রেখে জাতীয় ঐক্য গড়তে ড. কামাল হোসেনের আহ্বান সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য নেই। দলটি থেকে লোকজন বেরিয়ে যাচ্ছে। যারা নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে পারে না, তারা জাতীয় ঐক্য গড়বে কীভাবে? সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান আলী, রফিক উল্লাহ সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক শেখ মঞ্জুর বারী মঞ্জু, সদস্য মো. তাজুল ইসলাম, নীতিশ সাহা, এম এ জলিল, কাজী আনোয়ার কামাল, মাছুদ-উর-রহমান মিলু, শহিদুল ইসলাম, সুজিত কুমার দাশ, নেজামুল হক, মাহমুদুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, এ বি এম সেলিম আহমেদ, এম এইচ মোতালেব খান, এ কে এম এ মোস্তাক, মো. মিন্নাত হোসেন, বকসি ইকবাল মজিদ ও চৌধুরী আতাউর রহমান প্রমুখ সভায় যোগ দেন। রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৯/নঈমুদ্দীন/রফিক