জাতীয়

নীরব ঢাকায় সরব রমনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুপুর ১টা। পল্টন থেকে শাহবাগ সড়কে চলছে হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি।  সড়কে মানুষ নেই বললেই চলে।  মেঘলা আকাশ।  আকাশের দিকে তাকিয়ে যে কেউ অনুমান করবে, একটু পরই বৃষ্টি নামছে।  চারদিকে শীতল পরিবেশ। ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন লাখো মানুষ।  ফলে শুধু পল্টন-শাহবাগ নয়, ঢাকার বেশিরভাগ এলাকার অবস্থা এখন এমনই। তবে এই বর্ণনায় ব্যতিক্রম রয়েছে বিনোদন স্পটগুলো।  ঈদের ছুটিতে ঢাকায় সড়ক যখন ফাঁকা তখন জনমানুষে উত্তাপ পার্ক, সিনেপ্লেক্স, গেমিং জোনগুলো।  ব্যতিক্রম নয় ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন পার্ক রমনা পার্কও। ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রমনা পার্কে এসেছেন বিনোদন প্রত্যাশী মানুষ।  প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে পরিবার, স্বজনদের নিয়ে ঘুরছেন, কাটাচ্ছেন সুন্দর মুহূর্ত। প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য নিয়ে গড়ে ওঠা রমনা পার্কে ঘুরতে আসা শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষ ও বয়স্কদের দেখা গেছে খুশির আমেজে।  দেখা গেছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে আসা শিশুরা পার্কের চারদিকে ছোটাছুটি করছেন।  অনেকে এক স্থানে ভিড় করে গল্প-আড্ডায় মেতে ওঠেছেন।  কেউবা আবার সঙ্গে নিয়ে এসেছেন খেলাধুলার সরঞ্জাম।  ক্রিকেট, ফুটবল এমনকি লুডু খেলতে দেখা গেছে অনেককে। কেউ কেউ বলছেন, ঈদের দিন বৃষ্টি থাকায় অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারেননি। ফলে দ্বিতীয় দিনেই তারা ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন। ধানমণ্ডি থেকে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মূলত ঈদের আনন্দ শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখে।  এর পর ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়া, সব ভেদাভেদ ভুলে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়, কোলকুলি করা ইত্যাদি। এ ছাড়া, পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে সময় দেওয়া, তাদের নিয়ে ঘুরতে বের হওয়াও ঈদ উদযাপনেরই অংশ। তাই আজ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বের হলাম। ’ তিনি বলেন, ‘বছরের অন্যান্য সময় তো সময় বের করা বা সড়ক ফাঁকা পাওয়া যায় না। আজ ব্যাট-বল এক হলো।  তাই ঘুরতে বের হলাম। সময়টা আনন্দেই কাটছে। এদিকে, শাহবাগের শিশু পার্ক বন্ধ থাকায়ও অনেকে রমনা পার্কে আসছেন। ফজলুর রহমান নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  জানতেও পারিনি।  এজন্য রমনা পার্কে ঘুরতে আসলাম। ’ তিনি বলেন, ‘শিশু পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এটা ঠিক মতো প্রচার করা উচিত ছিল। তাহলে আজকে অন্য কোথাও ঘুরতে যেতাম। এখন বাধ্য হয়ে রমনায় ঘুরছি।’ রাইয়ান পূণ্য নামের একজন বলেন, ‘ঈদের দিন বৃষ্টির জন্য বের হতে পারিনি। আজ বন্ধুরা মিলে এসেছি। তাই আজ আমাদের ঈদ। ’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৯/সাওন/নূর/সাইফুল