জাতীয়

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যে নামানোর পরিকল্পনা

সংসদ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ’ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম রওশন আরা মান্নানের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত সংস্থা। কমিশন নিরপেক্ষভাবে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে। বর্তমানে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তরে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করছে। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা কমে আসছে। দুদক প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির স্বরূপ এবং কারণ উদঘাটন করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে সুপারিশ প্রেরণ করে। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তরসমূহ তাদের প্রতিষ্ঠানে সংগঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে। দুদকের এরূপ কার্যক্রমের ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে দুর্নীতির মাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছে। এ কর্মকৌশলের আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, “স্কুল-কলেজের সততা সংঘ” গঠন এবং “সততা স্টোর” স্থাপন করা হয়েছে। এসব ইতিবাচক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের জনগণের কল্যাণে এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তা ছাড়া, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে বদ্ধপরিকর।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৯/আসাদ/সাইফুল