জাতীয়

৪৪৬০৫৯ শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২২ জুন সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে।  ওই দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য  নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ৫৫ হাজার ৯৫৫ শিশুকে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২ থেকে ৫৯  মাস বয়সি ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ শিশুকে দুটি করে ক্যাপসুল  খাওয়ানো হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর  নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে এক ওরিয়েন্টেশন সভায় ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ এসব তথ্য জানান। এ সময়  ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডে ১ হাজার ৪৮৭ কেন্দ্রে ২ হাজার ৯৭৪ জন সেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজার কাজ করবেন। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের একটি করে (১ লাখ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের দুটি করে (২ লাখ আইইউ) উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে পরিচালিত এ কার্যক্রমের ফলে ৬-৫৯ মাস বয়সি শিশুদের কাভারেজ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭ সালে শতকরা ৯৯ তে  উন্নীত হয়েছে। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ছিল রাতকানা রোগের হার ১ ভাগের নিচে নামিয়ে আনা। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত রাতকানার হার ০.০৪ ভাগে নেমে এসেছে। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে এ অর্জিত হার ধরে রাখা অথবা তা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তাছাড়া, এ ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। সভায় জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। এই কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এর আগে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৯/আসাদ/রফিক