জাতীয়

রাজস্থান থেকে এখন গাবতলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেই সুদূর রাজস্থান থেকে এখন গাবতলীতে অবস্থান করছে তিনটি উট। গত ৬ মাস আগে এই উটগুলো দেখতে ছিলো একদম হালকা পাতলা। কিন্তু এখন বেশ ভারী ও স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছে পশুর ব্যাপারী পলাশ মিয়ার আদরের উট তিনটি।

গাবতলী পশুর হাটে ১নং হাসিল ঘরের সামনে থেকে সোজা পশ্চিম পাশে গেলেই চোখে পড়বে পলাশ মিয়ার এই উট। কথা হয় পলাশ মিয়ার সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা অনেকে মিলে শেয়ারে গত ১২ বছর যাবত এই ব্যবসা করি। আমরা এই উট তিনটি গত ৬ মাস আগে রাজস্থান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসি। যখন এনেছিলাম তখন দেখতে খুব রোগা ছিলো, কিন্তু এখন দেখেন কত স্বাস্থ্যবান দেখাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আনার পর থেকেই উটগুলোর খুব যত্ন নিয়েছি। তিন বেলা খাবার খাইয়েছি ও ২ বেলা গোসল করিয়েছি। আপনারা হয়তো জানেন না এই উটগুলোর একটা বৈশিষ্ট আছে, ওরা একদিন খাবার খেলে তার পরের ৬ দিন খাবার খায় না। এটা আসলে রাজস্থানে এমন হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের কাছে আনার পর থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে খাবার খাইয়ে ওদের অভ্যাস পরিবর্তন করেছি।’

রাজস্থান থেকে কীভাবে বাংলাদেশে আনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজস্থান থেকে প্রথমে কলকাতা আনা হয়েছে। তারপর ওখান থেকে বাংলাদেশে আনা হয়। সরাসরি রাজস্থান থেকে বিমানে আনা যেত, কিন্তু তাতে খরচ অনেক বেশি।’

 

প্রতিদিন কত টাকার খাবার এবং কি কি খাওয়ানো হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার মত খরচ আছে প্রতিটি উটের পেছনে। বলতে গেলে গরু যে খাবার খায়, ওদেরও ঠিক সেই খাবারই খেতে দেয়া হয়।’

উটের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি উট ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। তবে গতকাল একজন ক্রেতা তিনটার দাম বলেছে ৩৮ লাখ টাকা। ক্রেতারা দাম বলবেই, কিন্তু প্রতিটি ১৬ লাখের নিচে বিক্রি করবো না।’

এদের কোন নাম রাখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পলাশ বলেন, ‘ভাই নাম রেখে কী করবো। আসল হচ্ছে-দামটা। নাম নিয়ে আমরা ভাবছি না, আমরা ভাবছি আমাদের যেন লোকসান না হয়। কিছুটা লাভেই যেন বিক্রি করতে পারি।

 

রাইজিংবিডি/ ঢাকা/২৮ জুলাই ২০১৯/হাসিবুল/হাকিম মাহি