জাতীয়

এইচ টি ইমামও মশারি ব্যবহার করেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া খুবই দরকার। আমি ব্যক্তিগতভাবে যেমন মনে করি-আমি মশারি ব্যবহার করি।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়া জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এইচ টি ইমাম বলেন, আতঙ্ক বড় জিনিস। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য অনেকে আবার এটা ফুলিয়ে ফাপিয়ে অনেক কথা বলেন। এগুলো দেখার বিষয় আছে। ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া খুবই দরকার। আমি ব্যক্তিগতভাবে যেমন মনে করি, আমি মশারি ব্যবহার করি। কারণ মশার কামড় কোন সময়ে খাব, ঠিক নাই। আবার তেমনি ঘরের কোনায় কিছু আছে কিনা সেটাও দেখা দরকার। ঘরের পাশেই পটপ্লান্ট ছিল, সেগুলো সব সরিয়ে দিয়েছি। বালতিতে পানি না রাখা, স্বচ্ছ পানিতে এডিস হয় বেশি। এটি আগে আমি নিজেই জানতাম না। অনেকেরই ধারণা ছিল যে, ময়লা পানিতে হয়। আসলে তা নয়, স্বচ্ছ পানিতে এডিস ডিম পারে বেশি। ওই ডিমটা যদি মেরে ফেলতে পারি, তাহলে সব থেকে বড় জিনিস হবে।

তিনি বলেন, একটি জিনিস আমাকে খুবই চমকিত করেছে। সেটি হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল লন্ডন থেকে নির্দেশ দিয়েছিন যে, ঢাকা থেকে যারা পবিত্র ঈদ উদযাপন করার জন্য বাইরে যাবেন, তারা যেন রক্ত পরীক্ষা করে যান। কারণ তারা যদি ডেঙ্গু নিয়ে বাইরে যান, তাহলে ঢাকার বাইরে অনেক বেশি ডেঙ্গুর বিস্তার লাভ করবে।

তিনি বলেন, নাগরিক দায়িত্ববোধ আসতেই হবে। প্রথম থেকেই ব্যাপকভাবে আমরা দেখছিলাম যে, প্রচার হচ্ছিল না। এখন বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রথম প্রচার হওয়ার পর অন্যান্য টেলিভিশনও এখন ব্যাপক প্রচার করছে। ডাক্তাররা কি বলছেন, কোথায় এটি জন্মায়, এটি জানাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, একদিকে মশা নিধন করা, অন্যদিকে চিকিৎসা। চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর অনেকেই রোগী নিতে চাচ্ছিলেন না। আমরা তাদেরকে বাধ্য করেছি। 

এ সময় তিনি ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মিডিয়াকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

দুই মেয়র এর জন্য দায়ি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। মেয়রা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তারা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারেন না।  তার অধিনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কি করলো সেটি দেখার বিষয়।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জুলাই ২০১৯/হাসিবুল/সাজেদ