জাতীয়

লঞ্চে ঈদযাত্রায় ভিড় নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। শেকড়ের টানে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ।

বৃহস্পতিবার সরকারি শেষ কর্মদিনে সকাল থেকেই তাদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে সড়ক, রেল, আকাশ ও নৌ-পথে। তবে ঈদযাত্রা শুরু হলেও এখনো নৌ-পথে তেমন ভিড় নেই।

দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপকে এজন্য দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। সকাল থেকে সদরঘাটে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক লঞ্চ ঘাটে নোঙর করা থাকলেও এখনো বাড়তি ভিড় দেখা যায়নি।

যাত্রীদের দুপুরের মধ্যে ঘাটে আসতে বলা হলেও দূরপাল্লার লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যায়নি। তবে চাঁদপুরসহ আশাপাশের লঞ্চগুলো সকাল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। ওই লঞ্চগুলোতে ভিড় ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

কুয়াকাটা-২ নামের একটি লঞ্চের যাত্রী এনায়েত হোসেন বলেন, তাকে দুপুর ২টার মধ্যে আসতে বলা হয়েছে। তিনি দেড়টায় এসেছেন। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ার লক্ষণ নেই। তিনি শুনেছেন রাত ৮টার দিকে ছাড়বে।

এ বিষয় অ্যাডভেঞ্চার-১ সহ কয়েকটি লঞ্চের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেবিনের যাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। যাত্রীর তেমন চাপ নেই। তাই ছাড়তে একটু দেরি হচ্ছে। সন্ধ্যায় ভিড় বেশি হতে পারে।

এবারের ঈদে সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। সদরঘাটের যাত্রীসেবার মনোন্নয়ন ও সুষ্ঠু নিরাপদ নৌপরিবহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নৌমন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিসি, লঞ্চ মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা নদী বন্দর।

ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও যোগাযোগ) আরিফ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, সদরঘাট থেকে প্রতিদিন ৪৩টি রুটে ৬০ থেকে ৭০টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবারও যাত্রীদের চাহিদা থাকা সাপেক্ষে লঞ্চের সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এ নিয়ে সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ। প্রতিবারের তুলনায় এবার বেশ কিছু বাড়তি কাজ করা হয়েছে, যা যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করবে। তিনি আশা করছেন, ভালোভাবেই ঈদের যাত্রা সম্পন্ন হবে।

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমন্বয় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ। নৌ দুর্ঘটনা রোধ ও যাত্রী সেবা নিশ্চিতে অতিরিক্তি যাত্রী নেওয়া বন্ধ, ঈদ উপলক্ষে কোনো ফিটনেসবিহীন জাহাজ চলাচল করতে দেয়া হবে না। তবে কিছু স্পেশাল জাহাজ চলবে এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত হকার উচ্ছেদসহ বেশ কিছু নির্দেশনা তুলে ধরে সংস্থাটি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ আগস্ট ২০১৯/এম এ রহমান/বকুল