নিজস্ব প্রতিবেদক : একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ক্যান্সার ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
রিজিয়া রহমানের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর, কলকাতার ভবানীপুরে। বাবার নাম ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ সিদ্দিক, মা মরিয়ম বেগম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর কয়েক বছর অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলেন। এই সময় থেকেই তিনি তার প্রশংসিত ও বলিষ্ঠ উপন্যাসগুলো রচনা করতে থাকেন। রিজিয়া রহমান রচিত গ্রন্থের সংখ্যা চল্লিশের অধিক। শতাধিক ছোটগল্প লিখেছেন। লেখালেখির অঙ্গনে প্রায় সবকটি শাখাতেই তার ছিল স্বচ্ছন্দ বিচরণ।
প্রবন্ধ, সমালোচনা, কবিতা, রম্যরচনা ও শিশুতোষ রচনা ছাড়াও তিনি পত্রিকায় কলাম লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার লেখা অনূদিত হয়ে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন, পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার।
বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার প্রতি তার অগাধ মমত্ববোধ ছিল। তার লেখনিতে এসবই প্রাধান্য পেয়েছে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা তুলে দাঁড়াবার ইতিহাস— অনেকবার তার সাহিত্যে উপজীব্য হয়ে উঠেছে।
তার অন্যতম উপন্যাস হলো— ঘর ভাঙা ঘর, উত্তর পুরুষ, রক্তের অক্ষর, বং থেকে বাংলা। উপন্যাসে অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এ ছাড়া তার লেখা গল্পগ্রন্থ হলো— অগ্নিস্বাক্ষরা (১৯৬৭), নির্বাচিত গল্প (১৯৭৮), চার দশকের গল্প (২০১১) ও দূরে কোথাও।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ আগস্ট ২০১৯/তাপস/বকুল