জাতীয়

\`সৌদিতে নারী শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সৌদি আরবে প্রায়ই নারী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হন। কিছুক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রমাণও পাওয়া গেছে। এসব নির্যাতন বন্ধে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এখন থেকে দেশটিতে নারী শ্রমিককে নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি বেনজির আহমেদ এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যালয়ে মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের শ্রম বাজার নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বেনজির আহমেদ আরো বলেন, ‘শুধু সৌদি আরব নয়, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও নারী শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্যাতন নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। আমরা চাইছি, যে নিয়োগকর্তা নারী শ্রমিককে নিয়োগ দিয়েছেন, নির্যাতনের জন্য যেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনৈক্যের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে সভাপতি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে বায়রার এই অনৈক্যের কারণে ১০ শতাংশ শ্রমিক রপ্তানি কমেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘এখন সৌদি আরবসহ অন্য দেশ শ্রমিক নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া মালয়েশিয়ায় বন্ধ আছে, এজন্য কমেছে। একটি পক্ষ হয়তো সিন্ডিকেট করতে চাইছে। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইছেন শ্রম রপ্তানি নিয়ে যেনো কোনো সিন্ডিকেট না হয়, আমরাও এটা চেয়েছি। আমাদের বড় অর্জন জাপানে শ্রম বাজার রপ্তানি, এটা প্রাথমিক অবস্থায় আছে। আশা করছি, এখানে অনেক দক্ষ শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ আসবে।’

বর্তমানে কোনো সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শ্রমিক পাঠানো নিয়ে আমাদের মধ্যে সিন্ডিকেট হবে না, এ গ্যারান্টি দিতে পারবো না। তবে এটা বলতে পারি, এখন কোনো সিন্ডিকেট নেই। এটা একটা বড় সেক্টর, সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।’

ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই।’

মতবিনিময় সভায় বায়রার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/হাসান/ইভা